এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলে আত্মরক্ষার দাওয়াই অর্জুনের, সাংসদের বক্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে!

রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলে আত্মরক্ষার দাওয়াই অর্জুনের, সাংসদের বক্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীরা আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রের কাছে বারবার এই গোটা ঘটনায় সুবিচার চেয়ে দাবি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এমনকি ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর যখন হিংসা মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল, তখন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা যদি কর্মীদের রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে তারা ব্যর্থ বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।

আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী যখন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থেকেও খারাপ অবস্থা বলে দাবি করছেন, ঠিক তখনই বিতর্কিত মন্তব্য করে শোরগোল তুলে দিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জন সিংহ। যেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি তুললেন তিনি। তবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না হলে আত্মপক্ষ রক্ষার কথা বলে প্রতিপক্ষকে মার দেওয়ার মত বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গেল তার গলায়। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বস্তুত, বর্তমানে বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় রীতিমত জেরবার ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রতি মুহূর্তে এই ঘটনা তুলে ধরে তৃণমূলকে রাজনৈতিক আক্রমণ করছে তারা। এমনকি রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতেও দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গিয়ে বারবার রাজ্যের ব্যাপারে নজর দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ নেতৃত্ব। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।

যেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা না হলে পাল্টা মার দেওয়া দরকার বলে দাবি তুলতে দেখা গেল তাকে। এদিন তিনি বলেন, “হয় 356 ধারা, নয়তো পাল্টা মার। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আমাকে আত্মরক্ষা করার জন্য যা করা দরকার, আমি করব। আমাকে যদি কেউ খুন করতে আসে, আমার মাকে যদি কেউ ধর্ষণ করতে আসে, আমি যদি তারপরেও বেঁচে থাকি, তবে আমি কাপুরুষ। আমাকে পাল্টা মার দিতে হবে। ভারতের সংবিধান সেই অধিকার আমাকে দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদি অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না হয়, তাহলে বাংলার মানুষ বাঁচতে পারবে না। সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে, তা রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নামতে হবে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। 356 ধারা প্রয়োগ করুন। না হলে বাংলার মানুষ বাঁচবে না।” স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যে একদিকে জল্পনা এবং অন্যদিকে বিতর্ক ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, অর্জুন সিংহ এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। যার জেরে ব্যাপক চাপে পড়ে গেল রাজ্য প্রশাসন। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই হিংসার ঘটনাকে তুলে ধরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলতে শুরু করেছে একাংশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভোটে জিততে না পেরে বিজেপি এখন চক্রান্ত করছে, এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

আর এবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না হলে নিজেদেরকে বাঁচাতে পাল্টা মার দিতে হবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। কিন্তু এভাবে একজন জনপ্রতিনিধি নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন কি, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে শাসকদল। এক্ষেত্রে বিজেপি নেতারা এইসব মন্তব্যের মধ্য দিয়ে নিজেরাই নিজেদের আইন ভাঙছে বলে দাবি করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেও বাংলার হিংসা এবং রাষ্ট্রপতি শাসনের জোরালো দাবিতে রীতিমত সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!