এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাস্তার উন্নয়নই কি এবার তৃণমূলকে রাস্তায় বসাবে? আবার অনুব্রতর সামনে ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল নেতা!

রাস্তার উন্নয়নই কি এবার তৃণমূলকে রাস্তায় বসাবে? আবার অনুব্রতর সামনে ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে কড়া নাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে দলকে সাফল্যের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে জনসংযোগের বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ব্যাপক গণসংযোগ বাড়িয়ে, জনভিত্তি মজবুত করে, জনগণের সমর্থন বাড়াতেই সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা। বীরভূম জেলায় জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে জেলার প্রতিটি বুথে ৬০ জনের একটি বিশেষ কমিটি করা হয়েছে শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই বুথগুলির কাজকর্ম কেমন চলছে তার খোঁজ নিতে, প্রতিদিন তিনটি করে প্রতিটি পঞ্চায়েতের বুথ ধরে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

গতকাল রবিবার এই উদ্দেশ্যে তিনি বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের খয়রাশোল, কেন্দ্রগড়িয়া, রূপসপুর এই তিনটি গ্রামে পঞ্চায়েত কর্মীদের নিয়ে বিশেষ আলোচনায় বসে ছিলেন। গতকাল রবিবার রূপসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে বুথে নিয়ে আলোচনা করা হয়। গত লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকার বেশ কিছু বুথে শাসক দল তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছিল বিরোধী দল বিজেপির কাছে।

এমনই ভাবে পিছিয়ে পরা একটি বুথ নিয়ে আলোচনার সময় বুথ সভাপতি সমীরণ ঘোষকে যখন এই বুথে শাসকদলের পিছিয়ে যাবার কারন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি জানান যে, জনগণের ক্ষোভের ফলেই এই বুথে শাসকদল পিছিয়ে পড়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ” ক্ষোভ আছে। এই তো মিটিংয়ে আসতে আসতে দাঁতিন দিঘির কাছে বেহাল রাস্তায় বাসটা বসে গেল। যত পুরুষ ও মহিলা ছিলেন তাঁরা ঠেলে বাস তুলেছেন তারপরই এখানে এলাম।’’ ওই বুথ সভাপতির সংযোজন, ‘‘মাত্র ছ-সাত মাস আগেই রাস্তাটি সংস্কার হয়েছে।’’

বুথ সভাপতি সমীরণ ঘোষের এই বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা গেল, ” ৩৪ বছর বামেরা কিছু করেনি। নয় বছরে এক ভদ্রমহিলা মাথার উপর দেনা নিয়ে একের পর উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। খয়রাশোলে কাজ হয়েছে কি না বলো। সব একদিনে করা সম্ভব নয়। এটা বুঝতে হবে ’’। অনুব্রত মণ্ডলের এই বক্তব্যের পর বুথ সভাপতি সমীরণ ঘোষ জানালেন, ” সব ঠিক আছে, কিন্তু আমাদের ওদিকে যদি কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন বা দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে হাসপাতালে নিয়ে আসার উপায় নেই। অনেকটা ঘুরে যেতে হবে।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিপূর্বে সিউড়ি ২ ব্লকে জনৈক বুথ সভাপতি জেলা অনুব্রত মন্ডলের কাছে, রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছিলেন। যেকারণে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। গতকাল অবশ্য তেমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই রাস্তার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিলেন বুথ সভাপতি জেলা সভাপতির কাছ থেকে। সম্প্রতি বেহাল হয়ে যাওয়া এই রাস্তাটি একসময়ে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা প্রকল্পের অধীনে তৈরি হয়েছিল। রাস্তাটি দুবরাজপুর থেকে বালিজুড়ি হয়ে লোকপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই রাস্তার ৮ কিমি পর্যন্ত অংশ কয়েক মাস আগে রাস্তা সংস্কার করা হয়েছিল।

কিন্তু দুবরাজপুর বালিজুরি পঞ্চায়েত এলাকায় এই রাস্তা অনেকটাই বেহাল। তারসঙ্গে লোকপুর থেকে ডেমুরিয়া পর্যন্ত ৩, ৪ কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই জীর্ণ অবস্থায় পৌঁছে গেছে। সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নিয়ে এই রাস্তাটি মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।গতকালের এই বৈঠকে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তাঁর দলের নেতাকর্মীদের জানালেন, ” কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসি পাস করেছে। ৭১ সালের দলিল সকল পরিবারের নেই। খেয়াল রাখবেন ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড যেন প্রত্যেক পরিবারে থাকে।’’

অন্যদিকে, গতকাল খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। কেন্দ্রগরিয়াতে ৪ হাজার ভোটে তৃণমূলের পিছিয়ে পড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে, তার জবাবে খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল গায়েন ও এই পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভানেত্রী অসীমা ধীবরের মধ্যে শুরু প্রবল বচসা। অসীমা ধীবর ক্ষোভের সঙ্গে জানান যে, দলের কোনো মিটিং এ তাকে তাকে ডাকা হয় না। সেইসঙ্গে বেশ কিছু স্থানের আদি তৃণমূল কর্মীদের বেশ কিছু অংশকে গুরুত্বহীন করে দলে বসিয়ে রাখা হয়েছে।

অসীমা ধীবরের এই বক্তব্যের পর খয়রাশোল ব্লকের পর্যবেক্ষক বিকাশ রায়চৌধুরী প্রসঙ্গ বদলে তাঁকে জানান যে, তাঁর এলাকায় নির্মল বাংলা প্রকল্পের অধীনে শৌচাগার তৈরী না হওয়ায়, তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ জনগণ, তবে তিনি তা মানেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!