প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ওয়াশিংটন ডিসি! তুমুল অশান্তি অন্যান্য আন্তর্জাতিক January 7, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে যে জলঘোলা হয়েছে সেটা কারো অজানা নয়। সেখানে এই পদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায় নিশ্চিত। আর এই ঘটনাই মেনে নিতে পারছেন না তাঁর অনুরাগীরা। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন করার আগে ভোট গণনার সময় ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েন কিছু ট্রাম্প সমর্থক। আর সেখানেই শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। এরপর সেখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শেষপর্যন্ত গুলি চালায় পুলিশ। সেই ঘটনায় গুলিতে ১জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। বস্তুত, বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে জো বাইডেনের নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন, ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য ক্যাপিটাল হাউসের সামনে একত্রিত হন ট্রাম্পের সমর্থকরা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি চরমপন্থী সংগঠন ছিল বলেও জানা যায়। এরই মধ্যে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ছোঁড়েন। এরপর মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভের সদস্যদের সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেইসঙ্গে এই ঘটনার জেরে মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটের অধিবেশন মুলতবি করতে হয়। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তারপর শুরু হয় ভোট গণনা। সেখানে আগামী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়। বস্তুত, এই পুরো ঘটনার জন্য ট্রাম্পের উসকানিমূলক মন্তব্যকেই দায়ী করছেন অনেকে। কারণ এদিন হোয়াইট হাউজের সামনে দাঁড়িয়ে অনুরাগীদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘ভোট চুরি করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ আর এই কথার পরেই তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এর মধ্যেই ট্রাম্প টুইট করে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান। তবুও প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে ফেসবুক, টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম থেকে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার পর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও টুইট করে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। সেইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা শাস্তি পাবে বলেও জানান তিনি। আপনার মতামত জানান -