প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ তৃণমূলের সঙ্গে দুদশকেরও বেশি সম্পর্ক ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করলেন প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী। অন্যদিকে আজ কাঁথি দক্ষিণে জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাঁথি থেকে অধিকারী পরিবারকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, যারা রাতে কানে কানে কথা বলে, দিনে চুমু খায়, তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেন না তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি গাধা ছিলেন, তাই বিশ্বাস করে গিয়েছেন, ভালোবেসেছেন নিঃস্বার্থভাবে। এখন শুনছেন তাঁরা নাকি ৫ হাজার কোটি টাকার মালিক। এত টাকা কোথা থেকে এলো? প্রশ্ন করলেন তিনি। এরপরই জনতার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, এবারের ভোট হলো গদ্দার, মীরজাফরদের বিরুদ্ধে ভোট। বিজেপি হলো একটা ডাকাতের দল। যেখানে সিপিএমের কিছু হার্মাদ, তৃণমূলের কিছু গদ্দার যোগদান করেছে।

এরপর, অধিকারী পরিবারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, গদ্দারদের হাত ধরেই বিজেপি এসেছে এ রাজ্যে। ২০১৪ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। ঘরে ঢুকে সিঁধ কেটেছে। এদের জমিদারি থেকে মেদিনীপুরকে মুক্ত করার ডাক দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখানে এক জমিদার রাজা ছিল, একটা পরিবারের জমিদারি ছিল। সব জায়গায় তাঁরা নিজেদের নাম লিখেছে। কিন্তু কাজটা তিনিই করে দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, আগে তাঁকে কাঁথিতে মিটিং করতে দেয়া হতো না, এগরায় তাঁকে মিটিং করতে দেয়া হতো না। কারণ এখানে একজনের জমিদারি ছিল। যারা তাঁদের কথা শুনবে, তারাই থাকবে, যারা কথা শুনবে না, তারা থাকবে না। এমন নিয়ম ছিল তখন। তবে, এখন আর তা নেই। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, যারা রাতে কানে কানে কথা বলে, দিনে চুমু খায় তাদের সঙ্গে তাঁরা সম্পর্ক রাখেন না।

একসময় যাকে তিনি সম্মান করতেন, ভালোবাসতেন যাকে, যাকে তিনি মা তাঁরার ছবি এঁকে দিয়েছিলেন, আজ তিনি বিশ্বাসঘাতকের দল বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এদের চেয়ে বড় গদ্দার আর কেউ নয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যেশ্য করে তিনি জানালেন, তাঁর গদ্দাররা হলো চোরের সর্দার, এরা এলে বা গেলে? তাতে তৃণমূলের কিছু যায়-আসে না।