রেশনে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের, জেনে নিন বিস্তারিত কলকাতা রাজ্য November 23, 2019 এবার রাজ্যের মানুষদের রেশনে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ব্যাপারে কড়া মনোভাব দিতে চলেছে রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার। সূত্রের খবর, আধার নম্বর যাচাই করে এবারে রেশনে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে রাজ্যের খাদ্য ভবন থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, গত 18 নভেম্বর খাদ্য দপ্তরের সচিব এস এস চক্রবর্তী প্রতিটি জেলার আধিকারিকদের কাছে এই ব্যাপারে একটি চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। যেখানে জানানো হয়েছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যের সব রেশন দোকানে যাতে ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে আধার নম্বর যাচাই করে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়। শুধু তাই নয়, আধার সংক্রান্ত কাজ ঠিক কতটা এগিয়েছে, সেই ব্যাপারেও ইতিমধ্যে একটি বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। জানা গেছে, চলতি মাসের শেষের দিকে এই ব্যাপারে বৈঠক করবেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর সেই বৈঠকেই যদি কোথাও এই কাজে কোনো খামতি দেখা যায়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর। শুধু তাই নয়, কাজের ঢিলেমি রুখতে প্রতিনিয়ত জেলা দফতরের আধিকারিকদের কাছ থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করবে দফতরের সিনিয়র আধিকারিকরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে এই রাজ্যে ভর্তুকিতে খাদ্য সামগ্রী পাওয়া রেশন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় 9 কোটি 10 লক্ষ। তবে সেই ভর্তুকিতে যারা খাদ্যশস্য পান, সেই সমস্ত গ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু হয়েছে। যা রেশন দোকানের ই-পস মেশিনের মাধ্যমে হচ্ছে। আর এই ই-পস মেশিনের কাজ যাতে ঢিলেমি না আসে, তার জন্য দ্রুত সেই গ্রাহকদের আধার নম্বর যাচাই করে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে তাদের খাদ্যশস্য নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও সেই কাজ শুরু করা হয়নি। আর এবার সেই কাজ দ্রুত শুরু করতেই জেলায় জেলায় চিঠি পাঠাচ্ছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সমস্ত রেশন গ্রাহকদের আধার নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই কাজ অতটা এগোয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নির্দেশকে মানতা দিয়ে রাজ্য সরকার যাতে দ্রুত সেই কাজ শেষ করতে পারে, তার জন্যই এই উদ্যোগ। তবে রাজ্যের এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে আদৌ জেলা প্রশাসন ঠিক কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -