রেশন দুর্নীতিতে স্থানীয়দের তুমুল বিক্ষোভ শুরু হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন – শুরু কড়া দাওয়াই রাজ্য হাওড়া-হুগলি December 3, 2018 ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রেশনিং ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায় মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্নোত্তর পর্বে রেশন দুর্নীতি রুখতে তাঁর বার্তা, আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রাইট টু সার্ভিস অ্যাক্টে অভিযোগ জানানো যায়। কিন্তু তবুও এই ব্যবস্থায় জালিয়াতি কমেনি। আর এবার তা ধরা পড়ল লিলুয়ার ভট্টনগরে। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ এই ভট্টনগরের বাসিন্দা জয়ন্ত ভট্টাচার্য স্থানীয় রেশনের দোকানে জিনিস কিনতে যান। আর এই জিনিস কেনার পরই তিনি দেখেন যে, তার কার্ডে 2 ডিসেম্বরের তারিখ লেখা হয়। এমনকি শুধু জয়ন্তবাবুই নন, অন্যান্য সমস্ত গ্রাহকদের কার্ডেও ওই একই তারিখ দেওয়া হয়। আর এরপরই এই ব্যাপারটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 29 শে নভেম্বরের জায়গায় কেন তাদের 2 ডিসেম্বর তারিখ দেওয়া হচ্ছে! তা নিয়ে তারা রেশন ডিলারের উদ্দেশ্যে প্রশ্নও ছুড়ে দেন। কিন্তু এই প্রশ্নের কোনরূপ সদুত্তর দিতে পারেনি সেই রেশন ডিলার। অন্যদিকে বৃহস্পতিবারের পর শুক্র ও শনিবার সেই একইভাবে অন্যান্য গ্রাহকদের কার্ডে 2 ডিসেম্বর তারিখটি লেখেন ডিলাররা। আর যার জেরে সেই 2 ডিসেম্বর আর কোনোরূপ জিনিসপত্র রেশন দোকান থেকে পাননি গ্রাহকেরা। আর এর পরে এই ঘটনায় গত শনিবার দিন সেই রেশন দোকানের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে বাসিন্দাদের এহেন বিক্ষোভ অবস্থানে পরিস্থিতিকে শান্ত করতে বালি জগাছা ব্লক প্রশাসনের অফিসারেরাও এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার 12 টি রেশন দোকানে এই ধরনের দুর্নীতি চলছে। আর বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বিডিওর কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর পরই নড়েচড়ে বসেছে খাদ্য দপ্তর। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে এই অভিযুক্ত রেশন দোকান গুলিতে অভিযান চালাবে তারা। পাশাপাশি বিগত এক বছরে সেই দোকানগুলির রেজিস্টার এবং স্টকও মিলিয়ে দেখা হবে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিন এই প্রসঙ্গে বালি জগাছা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুভাষ রায় বলেন, “ভট্টনগরের বেশ কিছু রেশন দোকান নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত করার পাশাপাশি খাদ্য দপ্তরও বিষয়টি দেখছে। অভিযুক্ত রেশন দোকান গুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা খাদ্য দপ্তর কে অনুরোধ করেছি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “অভিযোগ এসেছে। তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। আপাতত এই দোকানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে। আর আমরা তাদের উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে ওই দোকানগুলোকে সাসপেন্ড করব।” তবে এই রেশন দোকানগুলোকে সাসপেন্ড করা হলেও জালিয়াতি বন্ধ করার জন্য ভেতর থেকে বাংলার রেশনিং ব্যবস্থার ঘা ঠিক কবে শুকোবে এখন তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই। Send feedback History Saved Community আপনার মতামত জানান -