এবার স্ত্রী রত্নাদেবীর ‘গোপন বিশেষ বন্ধুর’ দিকে ইঙ্গিত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজ্য April 7, 2018 শুক্রবার আলিপুর আদালতে ছিলো মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানি । এতদিন পর্যন্ত মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রত্নার দাম্পত্য সমস্যায় কলেজ শিক্ষিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উঠে এসেছিলো। রত্না দেবীর অভিযোগ ছিলো বৈশাখী দেবীর সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণেই তাঁর স্বামী সংসারবিমুখ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে কিন্তু এদিন আদালত চত্বরে উপস্থিত মেয়র সংবাদমাধ্যমকে বললেন,”উনি (রত্না) নিজে কি কোনও বিশেষ বন্ধুর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন! তাঁকে আড়াল করতেই কি বলা হচ্ছে, আমি কারও শেখানো কথায় চলছি! আমি বাচ্চা ছেলে নই যে, আমাকে কেউ শিখিয়ে-পড়িয়ে দেবে। কিন্তু উনি কি ওঁর কোনও বিশেষ বন্ধুকে সমৃদ্ধ করতে আর্থিকভাবে আমাকে পিছন থেকে ছুরি মারলেন।” মেয়রের এই কথায় আহত রত্না দেবী বললেন, “ওঁর (শোভন) সঙ্গে এখন যাঁরা আছেন, তাঁরা ওঁকে সব শিখিয়ে দিচ্ছেন। হয়তো ওঁদের সঙ্গে থাকতে থাকতে উনিও বদলে গিয়েছেন।ওঁর (শোভন) কী টাকা ছিল, যে আমি নয়ছয় করব!” এদিন রত্না দেবী আরোও দাবি করলেন যে তাঁর বাবা দুলাল দাস আর্থিক সহায়তার কারণেই শোভন বাবু ব্যবসাক্ষেত্রে সফল হয়েছিলেন। যদিও শোভন বাবু একথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বললেন, ”আমি বিশ্বাস হারিয়ে স্ত্রীর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চেয়ে মামলা করেছি। কোনওদিন আর্থিক ক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ির উপর নির্ভরশীল ছিলাম না। কোনওদিন পাঁচ পয়সাও সাহায্য নিইনি।” এদিন রত্না দেবীর পক্ষ থেকে আদালতে হলফনামা পেশ করে দাবি করা হয়, শোভন গোলপার্কের কাছে তাঁর শ্যালকের সংস্থার ফ্ল্যাটে বসবাস করার অধিকার আছে বলে জানিয়ে যে নথি পেশ করেছেন, তা ত্রুটিপূর্ণ। এদিন ছিলো ওই ফ্ল্যাটে রত্নাদেবী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের প্রবেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে শোভনবাবুর করা আবেদনের শুনানির শেষ দিন। মনে করা হচ্ছে আগামী ১১ ই এপ্রিল বিচারক এই বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারেন। আপনার মতামত জানান -