তৃণমূল নেত্রীর ‘নৈতিক জয়ের’ দাবি উড়িয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য February 5, 2019 গত রবিবার সন্ধ্যে থেকে চলে রাজীব কুমার-সিবিআই-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্বে আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে যেন কিছুটা স্থিতাবস্থা এল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে আজ সিবিআই, রাজীব কুমার ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সিটের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনে। সিবিআইয়ের স্পষ্ট অভিযোগ ছিল – রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন সিট যে তদন্ত রিপোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল তা অসম্পূর্ন। এমনকি অনেক বিকৃত (ট্যাম্পার্ড) কল রেকর্ড দেওয়া হয়েছে, সুদীপ্ত সেনের কম্পিউটার থেকে পাওয়া অনেক তথ্য উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সিটের নেতৃত্বে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতে, আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, সারদা মামলার তদন্তে সহযোগিতার জন্য সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে। তবে, নিরপেক্ষ স্থান হিসাবে মেঘালয়ের শিলংয়ে সিবিআই দফতরে রাজীব কুমারের জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। তাঁকে ‘আপাতত’ গ্রেপ্তার করা যাবে না এই মর্মেই রাজীব কুমার সিবিআই দফতরে সশরীরে হাজিরা দেবেন। পাশাপাশি, আদালত অবমাননার অভিযোগে রাজ্যের ডিজি, পুলিস কমিশনার এবং মুখ্যসচিবকে আগামী ১৮ ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই রায় সামনে আসতেই ধর্নামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন – এটা আমাদের নৈতিক জয়। বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। রাজীব কুমার কখনও বলেনি যে তিনি (সিবিআইয়ের সামনে) উপস্থিত হতে পারবে না, অসহযোগিতার কথা কখনও বলা হয়নি। তাছাড়া আদালত অবমাননা, রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের মতো সিবিআইয়ের দাবি আদালতে খারিজ হয়ে যাওয়ায় আমি সুপ্রিম কোর্টকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার এই লড়াই শুধু রাজীব কুমারের লড়াই নয়। এই লড়াই কোটি কোটি মানুষের লড়াই। তাঁদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেই আমাকে এইভাবে ধর্নায় বসতে হয়েছে। কিন্তু, তৃণমূল নেত্রীর সেই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর মতে, কিছু মানুষ এটাকে জয় হিসাবে দেখছেন। তাতে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু প্রশ্ন রাজীব কুমার কেন গত ৩ বছরে হাজির হননি সিবিআই দফতরে? সারদা-নারদা-রোজভ্যালি অর্থলগ্নি দুর্নীতি কাণ্ডে কয়েক লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন সব বিরোধীরা, এ বিষয়ে সত্যিই কিছু বলার নেই! আদালত অবমাননার দায়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ পদস্থ অফিসারদের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আপাতদৃষ্টিতে নৈতিক জয় সিবিআইয়েরই। আপনার মতামত জানান -