এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের আসল রহস্য কোথায়? জেনে দেখুন আপনিও

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের আসল রহস্য কোথায়? জেনে দেখুন আপনিও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– দুদিন আগের দিল্লি ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচে উত্তেজনা ছিল টানটান। ঈশান-পোলার্ড জুটিতে ম্যাচ একটা সময় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই জিতবে বলে মনে হচ্ছিল। তবে সেই উত্তেজনাকে আরও একটু ধরে রাখতে খেলা শেষে স্কোর সমান হয়ে যায়। ফলে ম্যাচ পৌঁছায় সুপার ওভারে। সেখানেও কিন্তু খামতি হয়নি উত্তেজনার। নির্ধারিত ইনিংসে ২৪ বলে ৬০ রানে অপরাজিত পোলার্ড আউট হয়ে যান। তারপর মুম্বাইয়ের হাল ধরতে মাঠে নামতে দেখা যায় রোহিত শর্মাকে। কোহলিদের সামনে তখন টার্গেট ৮ রান। অন্যদিকে সুপার ওভারে আবার আরসিবির এবি ডিভিলিয়ার্স আউট হন। কিন্তু ধন্দ থাকায় আবার রিভিউ নেন ক্যাপ্টেন কোহলি। কয়েক মুহূর্তের সাসপেন্সের পর জানা যায় তাঁর বল ব্যাটে না ঠেকেই কিপারের হাতে পৌঁছেছিল। ফলে শেষমেশ বাউন্ডারি ছুয়েই শেষ হয় জিত। উচ্ছাসের জোয়ার।

তবে অন্যদিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠতে দেখা গেছে। সেখানে দলের অন্যতম সেরা পছন্দ ঈশান কিশানকে কেন সুপার ওভারে ব্যাটিং করাতে পাঠালেন না অধিনায়ক বা নিজেই বা কেন নামলেন না সেই জায়গায়, তা নিয়েও অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। যদিও এই বিষয়ে রোহিত শর্মা বলেছেন যে, প্রবল গরমে ব্যাটিং করে ফেরার পরে ঈশান এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, পড়ে তাঁকে সুপার ওভারে নামানোর ঝুঁকি নেওয়া যায়নি। দলের কোচ মাহেলা জয়বর্ধনও সেই একই কথায় সায় দিয়ে বলেছেন যে, ঈশান খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল এদিন। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রতি আস্থা রেখেই পোলার্ড এবং হার্দিককে সুপার ওভারে পাঠানো হয়। তবে জিত আসায় এই কথা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে অনুরাগীদের কাছে, সেটা বোঝা সময়ের অপেক্ষা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন ২৪ বলে ৫৫ রান করে তিনিই যে সেদিনের মাঠের সেরা হয়ে ওঠেন, সেকথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে আসতে দেখা যায়নি তাঁকে। পরে জানা যায়, প্রবল গরম এবং আর্দ্রতায় অসুস্থ হয়ে পড়েই এই বিপত্তি। তবে তাঁর হয়ে সেই পুরস্কার নেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। পরে ড্রেসিংরুমে সেদিনের নায়কের হাতে সেই স্মারক তুলে দেওয়া হয়। তবে পরে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আরসিবি-র অফিসিয়াল টুইটার পেজে এবি লেখেন, দুর্দান্ত ক্রিকেট এবং সেদিনের সেরা দল হিসেবেই এই জয় এসেছেন তাঁদের। যদিও ব্যক্তিগতভাবে বিচার করতে গেলে ফিল্ডিংয়ে অনেক কিছু ভুলও করেছেন। তবুও এটা মাত্র তিন নম্বর ম্যাচ। তাই তিনি আশা করেছেন এই জয় দলকে ভবিষ্যতে গতি এনে দেবে।

অন্যদিকে, ঠিক যেমন সুপার ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন নবদীপ সাইনি। তাঁর কথায়, শুরু থেকেই লাইন এবং লেংথ ঠিক রাখার দিকেই তিনি সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন। পরে সুপার ওভারে বোলিং করতে যাওয়ার সময়েও তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন যে কী হতে পারে সেটা নিয়ে না ভেবে নিজের স্বাভাবিক বোলিংটা ধরে রাখবেন। আর তাতেই চাপ সামলে নিতে পারবেন তিনি। আর সেই চাপ সামলানো বা বোলিং ধরে রাখাই তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। পরে অবশ্য এই ব্যাপারে অধিনায়ক বিরাট কোহালি জানিয়েছেন যে পাওয়ার প্লে-তে ওয়াশি দারুণ বল করেছে। সুপার ওভারে নবদীপের ইয়র্কারগুলোও দুর্দান্ত কাজে লেগেছে। আর এতেই এসেছে কাঙ্ক্ষিত জয়। তবে এই খেলার ফর্ম তারা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে পারে কিনা, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!