এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রেলের উচ্ছেদ প্রসঙ্গে ঝাঁটাপেটার নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক,

রেলের উচ্ছেদ প্রসঙ্গে ঝাঁটাপেটার নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক,

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হুগলি জেলার ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে রেলের জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী কয়েকশো পরিবারকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিল রেল। রেলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে নোটিশ জারি করে রেলের জমিতে বসবাসকারীদের রেলের জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। রেলের এই সিদ্ধান্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এই মানুষেরা। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এই বিপন্ন মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াল। পুনর্বাসন না দিয়ে এই মানুষদের উচ্ছেদ করলে, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার রেলের জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে নির্দেশ দিলেন যে, যদি কেউ কাগজপত্র দেখতে আসেন, তবে তাঁরা যেন তাঁদের কোন কাগজপত্র না দেখান। পরিবর্তে ঝাঁটা মেরে যেন তাঁদেরকে তাড়িয়ে দেন। বিধায়কের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হল তীব্র বিতর্ক।

রেলের পক্ষ থেকে জনৈক আধিকারিক জানালেন যে, রেল নিজের এলাকাকে জবর দখল মুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইন মেনেই সমস্ত কিছু করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন ক্যান্টিন বাজার, পিরতলা, সাহেব বাগান, সাহেব পাড়া অঞ্চলে প্রায় কয়েকশ পরিবার দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করছেন রেলের জমিতে। এদের মধ্যে অনেকে আবার দোকান করেছেন ক্যান্টিন বাজারে। রেলের জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিল রেল। এ ব্যাপারে তারা নোটিশ জারি করেছে। রেলের এই নোটিশেই মাথায় হাত পড়েছে বাসিন্দাদের।

আতঙ্কিত বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন যে, এভাবে যদি তাদের জমি থেকে তুলে দেয়া হয়, তবে তারা কোথায় যাবেন? জমি থেকে যদি তাদের তুলেই দেওয়া হয়, তবে তাঁরা বিকল্প পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। রেলের জমিতে বসবাসকারী এক মহিলা শান্তি হরিজন এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, জন্মের পর থেকেই এখানে আছেন তিনি। এভাবে যদি তাদের তুলে দেয় তবে তারা কোথায় যাবেন? বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে তারা কিছুতেই এখান থেকে যাবেন না। এবার, তাদের পাশে এসে দাঁড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গত শুক্রবার এই এলাকায় গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেসময় বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের প্রধান নিতু সিংহ ও বিভিন্ন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত শুক্রবার রেলের জমিতে দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করা একাধিক পরিবারের মহিলাদের ডেকে বিধায়ক জানালেন যে, কেউ তাঁদের জমি থেকে তুলে দিতে পারবে না। তবে, তারা যেন কাউকে কোনো কাগজপত্র না দেখান। সেইসঙ্গে বিধায়কের নিদান, কেউ যদি তাদের বাড়িতে আসেন, তবে তাঁরা যেন ঝাঁটা মেরে তাড়িয়ে দেন তাদেরকে। এভাবে সরাসরি না বললেও, রেলের লোকজনকেই ঝাঁটাপেটার নিদান দিলেন বিধায়ক। বিধায়কের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট বিতর্ক শুরু হল। খোদ বিধায়কের মুখে এমন মন্তব্য কতটা সমীচীন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

এরপর গণমাধ্যমের সামনে বিধায়ক অসিত মজুমদার জানালেন যে, রেলের আবাসন ও আবাসন সংলগ্ন এলাকায় স্বাধীনতার পর থেকেই বসতি গড়ে উঠেছে। তাঁর অভিযোগ, এই সমস্ত গরিব মানুষদের উচ্ছেদ করে রেল গরিব মানুষের পেটে লাথি মারতে চাইছে। আর এতেই রেল তথা বিজেপি সরকারের আনন্দ। বিধায়ক জানিয়েছেন, আগামী ১০ ই নভেম্বরের মধ্যে এই জায়গা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে রেল। রেলের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিধায়ক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ” মগের মুলুক নাকি? বিকল্প ব্যবস্থা না করে কাউকে সরানো যাবে না। সেই চেষ্টা হলে তার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব।’’

তবে রেলের পক্ষ থেকে বিধায়কের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কোন বক্তব্য রাখা হয়নি। এদিকে হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের মালগুদাম সংলগ্ন এলাকা থেকেও বেআইনি দখল মুক্ত করার নোটিশ দিল রেল। এখানেও বাসিন্দাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের হুঁশিয়ারি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে কখনোই জমি থেকে উচ্ছেদ করা চলবেনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!