শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বদলি ঠিক হয়ে গেল শাসকদলে বিশেষ খবর রাজ্য March 16, 2018 মুখ্যমন্ত্রীর একসময়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘বদলি’ ঠিক করে ফেলল শাসকদল। প্রথমে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি, পরে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়েন তিনি। এমনকি জল্পনা ছড়ায় মেয়র পদ ও মন্ত্রীত্ত্ব থেকে দ্রুত পদত্যাগ করতে চলেছেন তিনি। কিন্তু তিনি শুধু মেয়র বা মন্ত্রী নন, দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতিও, ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তিনি পদত্যাগ করলে বা দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। তাই আপাতত মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি জেলা সভাপতি হলেও, পঞ্চায়েতের সমস্ত রকম দায়িত্ত্ব থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ত্ব সামলাবেন জেলা নেতা অঞ্জন দাস ও রাজ্যসভার সাংসদ হতে চলা শুভাশিস চক্রবর্তী। আর এই দুই নেতাকে সেই কাজে সাহায্য করবেন অন্যতম শীর্ষনেতা সুব্রত বক্সি। রাজ্যসভা ও পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেই শোভনবাবুকে পাকাপাকিভাবে জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে শুভাশিসবাবুকে নতুন জেলা সভাপতি করা হতে পারে, সঙ্গে সহ-সভাপতি হিসাবে জুড়ে দেওয়া হাতে পারে অঞ্জনবাবুকেও। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত ‘কেচ্ছাকে’ সরিয়ে রেখে নিজের কাজ করে যেতে শোভনবাবুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ও তাঁর ‘বান্ধবী’ বৈশাখীদেবী তারপরেও যে ভাবে সংবাদমাধ্যমে খোলাখুলি কথা বলেছেন, তার প্রভাব জনমানসে পড়েছে। ফলে দলের একাংশ রীতিমত ক্ষুব্ধ। তাঁর ‘কেচ্ছার’ দায় দল কেন নেবে – এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন দলেরই একাংশ। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা শুধু জেলা সভাপতির পদ থেকেই অপসারণ নয়, পঞ্চায়েত ভোট মিটলে আরো বড় ‘খাঁড়া’ নেমে আসতে পারে তাঁর উপর। আপনার মতামত জানান -