রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত খাদ্য দপ্তরের – জানুন বিস্তারিত কলকাতা রাজ্য October 10, 2019 কেন্দ্রের আধার কার্ডের বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু কালের নিয়মে সেই নির্দেশ প্রায় প্রত্যেককেই মানতে হয়েছে। বর্তমানে আধার কার্ডের সঙ্গে প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথির সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া চলছে। আর এবার রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ করা নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের খাদ্যদপ্তর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যে, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ করতে হবে। যেখানে রেশন ডিলারদের কাছে ই-পস মেশিনে গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ এবং আধার নম্বর নথিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। জানা গেছে, গত 23 সেপ্টেম্বর থেকে এই কাজ শুরুর কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত ডিলাররা সেই কাজ শুরু করেননি। তাই পুজোর আগেই এই ব্যাপারে সকলের সঙ্গে বৈঠক করে সেই কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে তারা কিভাবে সেই কাজ শুরু করবেন, তা সম্পর্কে ঠিকমতো অবহিত না থাকায় এর জন্য একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করার অনুরোধ জানানো হয়। আর সেইমত এবার আধার সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ শিবির চালু করছে খাদ্য দপ্তর। সূত্রের খবর, প্রথমে মহকুমা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ শিবির করা হবে। তারপরেই কোনো একটি বড় অডিটোরিয়াম রয়েছে সেখানে ডিলারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর যেদিন যে এলাকার ডিলারদের এই প্রশিক্ষণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন সেই এলাকার রেশন দোকান বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ে 9 থেকে 27 সেপ্টেম্বর যে বিশেষ শিবির খোলা হয়েছিল, তাতে নতুন কার্ডের জন্য প্রায় 8 লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে বলে খবর। জানা গেছে, আগামী 5 থেকে 30 শে নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবির অনুষ্ঠিত হবে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এখানকার রেশন গ্রাহকদের আধার সংযুক্তিকরণের কাজ নভেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করা যাবে বলে আশা করছি।” সব মিলিয়ে এবার রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল খাদ্য দপ্তর। আপনার মতামত জানান -