রেশনের চাল অবৈধভাবে বিক্রি করতে গিয়ে পাকড়াও ব্যক্তি! তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বে সরগরম রাজ্য কলকাতা রাজ্য May 13, 2020 করোনা মহামারীর মধ্যে বাংলায় এখন সব থেকে বেশি আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রেশনে দুর্নীতি। শাসক বনাম বিরোধীদের তরজায় সেই রেশনে দুর্নীতির কথা বারবার উঠে আসছে। এবার ফের রেশনের চাল অবৈধভাবে বিক্রি করার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠল পশ্চিমবঙ্গ। যার ফলে শাসক বনাম বিরোধীদের তরজা চরমে উঠতে শুরু করেছে। জানা গেছে, নদীয়ার ধানতলার দত্তপুলিয়া গ্রামে ননী সাহা নামে এক ব্যক্তির চালের গুদাম রয়েছে। গত শনিবার সন্ধের সময় স্থানীয় বেশকিছু মানুষ দেখতে পায় যে, ওই গুদাম থেকে এফসিআইয়ের ছাপ দেওয়া বস্তা থেকে প্লাস্টিকের বস্তার চাল ঢালা হচ্ছে। যে বস্তা খোলাবাজারে বিক্রি করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। যেখানে সরকারের তরফে প্রত্যেককে বর্তমানে বিনামূল্যে চাল দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কেন এই গুদাম থেকে সেই চাল খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকে। আর তারপরেই সেই গুদামের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারন মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পরবর্তীতে সেই গুদাম সিল করে দেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় অধরা রয়ে গিয়েছেন গুদামের মালিক ননী সাহা। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ননী সাহা নামের ওই ব্যক্তি বিজেপি কর্মী। ফলে এই অবৈধ কাজের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি যুক্ত রয়েছে। অন্যদিকে ননী সাহার সঙ্গে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর এভাবে চাল বিক্রি করার ঘটনায় যখন সাধারন মানুষ ক্ষিপ্ত, যখন আসল সমস্যার সমাধান চাইছেন সকলে, তখন অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালায় রীতিমতো হতাশ প্রত্যেকেই। এদিন এই প্রসঙ্গে রানাঘাট উত্তর-পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দার বলেন, “গোডাউন মালিক ননী সাহা বিজেপি কর্মী। লোকসভায় রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের আনন্দে তিনি মিষ্টি বিলি করেছিলেন। তাই বিজেপির মদতেই এফসিআইয়ের চাল বেআইনিভাবে বিক্রির চক্রান্ত করেছেন।” অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপির অন্যতম নেতা অটল ঘোষ বলেন, “দলের সঙ্গে ননী সাহার কোনো যোগ নেই। তিনি দলের কর্মী বা সমর্থক কেউ নয়। বরং গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক। সঠিক তদন্ত হলে হয়ত বোঝা যাবে, এর পেছনে তৃনমূলই দায়ী।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে সাধারন মানুষ যাতে তাদের পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী পান, তার দিকে নজর দেওয়া উচিত সকলের। যেভাবে রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে এবং নদীয়া জেলায় যে ঘটনা ঘটল, তা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক। এখন সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -