এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সহায়ক মূল্যে ধানবিক্রির একমাস বাদেও অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি টাকা, রীতিমত আতঙ্কে ভুগছেন কৃষকরা

সহায়ক মূল্যে ধানবিক্রির একমাস বাদেও অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি টাকা, রীতিমত আতঙ্কে ভুগছেন কৃষকরা


সহায়ক মূল্য ধান বিক্রির মাসখানেক পরেও মাথায় হাত চাষীদের। অভিযোগ, শীতলকুচি কৃষক বাজারে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি হওয়ার ৩০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ২৫০ জন চাষীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকাই ঢোকেনি।তাঁদের প্রাপ্য টাকা কতোদিনে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বা আদৌ ঢুকবে কিনা তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন চাষীরা।

চাষীদের বক্তব্য,সহায়ক মূল্যের ধান বিক্রির পর তাঁরা প্রাপ্ত চেকটি শীতলকুচির একটি৷ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু জমা দেওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁদের টাকা অ্যাকাউন্টে জমাই পড়েনি। সাধারণত চেক জমা দেওয়ার তিন চার দিনের মাথায় টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়।

এক্ষেত্রে এতোজন চাষীরা টাকা কেন অ্যাকাউন্টে ঢুকল না তা খতিয়ে দেখছে খাদ্য দপ্তর। এব্যাপারে শীতলকুচির ওই ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার সোনু সুব্রাহ্মনিয়ম বলেন,”আমাদের তরফে কোনও গাফিলতি নেই। আমরা চেকগুলি কোচবিহারে পাঠিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জেলা থেকে প্রচুর চেক জমা হওয়ায় ক্লিয়ার করতে সময় লাগছে। আশা করি শীঘ্রই চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।”

শীতলকুচির কৃষকদের তরফ থেকে আরো জানা গিয়েছে,গত ৫-১০ জানুয়ারি যাঁরা সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করেছেন তাঁদের কারো অ্যাকাউন্টেই চেকের টাকা ঢোকেনি। শীতলকুচির গোলেনাওহাটির চাষি ইমজাদ হোসেন, নারায়ণচন্দ্র বর্মন, জাকির হোসেনদের বক্তব্য,কৃষক বাজারে ধান বিক্রির পর খাদ্যদপ্তর থেকে চেকে পেয়েছিল তাঁরা। সেই চেকই শীতল কুচির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় জমা করেন তাঁরা। এদিকে এক মাস পেরিয়ে গেলেও সে টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে দিনের পর দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে কৃষকদের। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়তও চান যে কেন এখনো তাঁদের চেকের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকে নি। তবে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই এবার আর চুপ করে বসে থাকতে চান না চাষীরা। শীঘ্রই এ নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবী করেন তাঁরা। সময়মতো টাকা না পাওয়ায় নতুন করে চাষবাস শুরু করতে পারছে না চাষীরা। এর জেরে চাষের মরশুমে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলেই জানান চাষীরা।

প্রসঙ্গত,সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে সহায়ক মূল্যে ধান কিনে চেক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তের জেরে ফড়ের দাদাগিরি অনেকটাই কমেছে বলে দাবী প্রশাসনের। তবে এর জেরে চাষীদের নতুন সমস্যাকে কেন্দ্র করে লোকসভা ভোটের আগে ফের পরিস্থিতি জটিল হল। আর এই সমস্যার জলদি সমাধান না করলে রাজ্যের চাষীদের ভোটব্যাঙ্কে রাজ্যসরকারের লাগাম আলগা হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের নিয়ামক সমীর মণ্ডল জানান,সহায়ক মূল্যের ধান কেনার পরই টাকা যাতে সহজে ভাঙানো যায় তার জন্যে চেক চাষীদের হাতেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। তবে এক্ষেত্রে চাষীদের নাম এন্ট্রি করানোর সময় কোনো গন্ডগোল হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি।

নয়তো এতোজন চাষীর টাকা আটকে থাকার অন্য কোনো কারণ থাকার কথা নয়। এই সমস্যার কথা আগে জানলে এ ব্যাপারে ব্যাঙ্কের শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা যেত। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে ব্যাঙ্কে গিয়ে যোগাযোগ করাটাই সঙ্গত। তবে এই সমস্যার জলদি সমাধান হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছে খাদ্য দপ্তর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!