এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ধানের সহায়ক মূল্য বাড়লেও, বাড়েনি অন্য খাতে – রাজনৈতিক বঞ্চনা নিয়ে বিস্ফোরক খাদ্যমন্ত্রী

ধানের সহায়ক মূল্য বাড়লেও, বাড়েনি অন্য খাতে – রাজনৈতিক বঞ্চনা নিয়ে বিস্ফোরক খাদ্যমন্ত্রী


ধানের সহায়ক মূল্য বাড়ালেও অন্যান্য খাতে রাজ্যকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র,এমনটাই অভিযোগ রাজ্য সরকারের। ধানের সহায়ক মূল্য সহ চাল উৎপাদনের অন্যান্য খরচ মেটাতে গড়িমসি করে মোদীসরকার। হিসাব পেশের পর মাসের পর মাস কেটে গেলেও কেন্দ্র কোনো উচ্চবাচ্য করে না। ফলত ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের সুদ মেটাতে বেশি হয়ে যায় রাজ্যসরকারের,এমনটাই জানালেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

প্রসঙ্গে আরো জানা গিয়েছে,গতবারের তুলনায় নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ বছরের খারিফ মরশুমে প্রতি কুইন্ট্যালো দু’শো টাকা বেশি দামে (১৭৫০ টাকা) চাষীদের থেকে ধান কেনার ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য ধার্য করেছে কেন্দ্র। কিন্তু ধান থেকে চাল উৎপাদন করার প্রক্রিয়াতে যে খরচ হয়,সেই খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেনি কেন্দ্র।

কোন খাতে কত খরচ করা হবে, সে সংক্রান্ত একটা তালিকাও ইতিমধ্যে রাজ্যসরকারের দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাজ্যসরকার। কারণ তাঁদের বক্তব্য,রাজ্যের বেশিরভাগ দাবীকেই মান্যতা দেয়নি কেন্দ্র। এই প্রক্ষিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে খাদ্যমন্ত্রী

বললেন,রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। কোন খাতে কত খরচ দেওয়া হবে,সে সংক্রান্ত ১০ টি বৈঠক করা হয়েছিল কেন্দ্রের সঙ্গে। কিন্তু রাজ্যের দাবীগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে একতরফা লাভের কথা ভেবে খরচের হার নির্ধারন করেছে কেন্দ্র।

পঞ্জাবে শ্রমিকদের মজুরি খাতে কুইন্ট্যাল প্রতি যেখানে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ২৭ টাকা,সেখানে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হচ্ছে ২ টাকা ৭৬ পয়সা। কেন্দ্রের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধেই আওয়াজ ওঠালেন খাদ্যমন্ত্রী। বললেন এর জন্যে রাজ্যসরকারের কোষাগার থেকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।

আরো জানা গেল,চাষীদের কাছ থেকে কেনা ধান থেকে চাল প্রক্রিয়াকরণের জন্য পরিবহণ, মজুত রাখা, ধান ভানানো, বস্তার খরচ, ধান কেনার কমিশনের হার, ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের উপর সুদ, প্রশাসনিক খরচ সহ শ্রমিকদের মজুরিতে কত খরচা হবে তা নির্ধারন করে দেয় কেন্দ্র।

বহু বছর আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সহ আরো অনেক রাজ্যের ধান সরকারি উদ্যোগে কেনার প্রক্রিয়ায় বিকেন্দ্রীকরণ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে চাষীদের থেকে ধান কিনে চাল উৎপাদন করছে রাজ্য। ওই চালই রেশন ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে সরবরাহ করা হচ্ছে। আর এই প্রক্রিয়াকরণের সূত্র ধরেই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রসরকারের বঞ্চনার তথ্য সামনে আনলেন খাদ্যমন্ত্রী।

বিভিন্ন সমবায় সংস্থা ছাড়াও মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে ধান কেনার উপর গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য। এই ধান বিক্রির কমিশন থেকে আয় হয় গোষ্ঠীগুলোর। সংগ্রহ মূল্য অনেকটা বাড়ানো হলেও কমিশন এবারও মোটা ও গ্রেড ওয়ান ধানের কমিশন কুইন্টাল পিছু যথাক্রমে প্রতি ৩১ টাকা ২৫ পয়সা ও ৩২ টাকা রেখে দেওয়া হয়েছে। ধান ভানানোর খরচ বা মিলিং চার্জ সিদ্ধ চালের জন্য কুইন্টালে ৩০ টাকা চেয়েছিল রাজ্য। সেটা ২০ টাকাতেই রেখে দেওয়া হচ্ছে। এর জেরে রাজ্যকে নিজস্ব তহবিল থেকে মিলিং চার্জ বাড়াতেহচ্ছে।

ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে রাইস মিলে ও মিল থেকে গুদামে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য কুইন্টাল প্রতি ২৫ টাকা পরিবহণ খরচ দাবী করেছিল। সেটাও গতবারের মতো ১৮ টাকা ৩৮ পয়সা রেখে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার বস্তার জন্য চেয়েছিল ১০২ টাকা। সেখানে দেওয়া হয়েছে ৪৭ টাকা ৪০ পয়সা। রাজ্য সরকার ঋণের সুদের জন্য যে হারে টাকা চেয়েছিল, সেটাও দেওয়া হয়নি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

চাল শুকনো করার জন্য সংগ্রহমূল্যের এক শতাংশ চেয়েছিল। সেটা শুধু আতপ চালের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। আতপ চাল পরিমানে কম হয় এ রাজ্যে। কাজেই রাজ্যের জন্যে কেন্দ্র যে নূন্যতম বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে তাতে তেমন লাভ হয়নি রাজ্যসরকারের। শুধুমাত্র প্রশাসনিক খরচা এবং মার্কেট ফি খাতে রাজ্যের দাবী মোটামুটি মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। এই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা ভোটের আগো বিজেপি সরকারের অপপ্রচার চালাতে পারে তৃণমূল,এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!