এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ব্যাঙ্কগুলি! আর নেই কোনো ছাড়! জানুন বিস্তারে

ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ব্যাঙ্কগুলি! আর নেই কোনো ছাড়! জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। এমন সময় করোনা সংক্রমণ রুখতে কার্যত বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দিতে হয়েছে সমস্ত সরকারি দপ্তর, কাজের জায়গা। সাধারণ মানুষের দুরবস্থা লক্ষ্য করে সরকারি তরফে জিএসটি, ঋণ পরিশোধের সময়ও তাই নির্ধারিত সময় থেকে বেশি করা হয়েছে। অন্য ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের ক্ষেত্রে কিন্তু খরচের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে প্রথমে যখন লকডাউন শুরু হয়, তখনই সরকারি তরফে অনুরোধ করা হয়েছিল কোথাও থেকে যেন কোন মানুষকে বেতন না দিয়ে ছাড়িয়ে দেওয়া না হয়। ফলত কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও তাই বেতন কাটছাঁট করা যায়নি। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন ইনকামিং সোর্সগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুশকিলে পড়ে সরকার।

এবার সে ক্ষেত্রে কিছুটা সামাল দিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পর সরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় ঋণ নেওয়ার পরে তা শোধ দিতে না পারায় সংস্থা দেউলিয়া হয়ে গেছে এই ঘোষণা করে অনেক কোম্পানি ঋণের থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করে নিতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে এবার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে সরকার। জানা গেছে, ব্যক্তিগত সেই সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই ঋণের খানিকটা বোঝা কমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। কারণ হিসাব অনুযায়ী, এই বছরে দেশের জিডিপির অনেকটাই ঋণের বোঝা সামলাতে চলে যাবে। ফলে অর্থবর্ষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অনেকটাই পিছিয়ে যেতে হবে সরকারকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এসবিআই-এর রিপোর্টে অনুযায়ী এই ঋণের অঙ্ক ফিসক্যাল রেস্পন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট-এর লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে মিলিত হয়ে ২০২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ঋণের মাত্রা আরও অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। ফলত তা জিডিপি-র প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি চলে যাবে। যেখানে ২০১২ অর্থবর্ষে ঋণ ছিল প্রায় ৫৮.৮ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে চলতি অর্থবর্ষে দেশের ঋণের বোঝা প্রায় ১৪৯.৬ লক্ষ কোটি টাকা। যা হিসেব অনুযায়ী দেশের জিডিপি-র ৭২.২ শতাংশ। তাই অর্থবর্ষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ২০৩০ সাল হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১৭০ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি চলে যাবে। এরমধ্যে বাইরে থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৬.৮ লক্ষ কোটি টাকায় বেড়ে যাবে, যা হিসেব মত দেশের জিডিপি-র প্রায় ৩.৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে ঘরোয়া ঋণ, রাজ্যের ঋণ সব মিলিয়ে দেশের জিডিপি-র ২৭ শতাংশতে এসে দাঁড়াবে। এই সংকটকালীন অবস্থায় ঋণ খেলাপির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!