ঋতব্রতকে পদ দিয়ে মুকুল রায়ের সামনে কি বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী? কলকাতা রাজ্য July 6, 2018 জল্পনা চলছিল – তবে দিনক্ষন নিয়ে চূড়ান্ত ছিল না কিছুই। আর সে সবই পরিস্কার হয়ে গেল শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ঘোষনাকে কেন্দ্র করে। এদিন রাজ্যে আদিবাসীদের উন্নয়নের রুপরেখা ঠিক করতে আদিবাসী উন্নয়ন কোর কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর যার চেয়ারম্যান হিসাবে ঘোষনা করেন বহিস্কৃত সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তাহলে কি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবার যোগ দিলেন তৃনমূলে? না সেরকম কোনো খবরই নেই। তবে সিপিএম থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃনমূলের গুনগান যেভাবে করতে থাকেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে তিনি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন যেকোন তৃণমূলের শীর্ষনেতাকেই। আর তার ফলেই গুঞ্জন ক্রমশ তীব্র হয় যে আগামী ২১ শে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকেই তৃনমূলের পতাকা হাতে তুলে নেবেন সিপিএমের এই এই বহিস্কৃত সাংসদ। এদিন সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে একদা চরম বিরোধী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সরকারি আদীবাসি উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা রাজধানীর বুকে বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে হেনস্থা করা তৎকালীন এসএফআই এর নেতাকে ভুলে গিয়ে মনে রেখে দিলেন কন্যাশ্রীর জয়গান গাওয়া ‘বাংলার’ সাংসদকে। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সূত্রের খবর, আদিবাসী উন্নয়ন কোর কমিটিতে প্রতিটি জেলা থেকে দুজন করে সদস্যও রাখা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে ঋতব্রত ব্যানার্জীর তুলনা করছেন অনেকেই। কারন, গত নভেম্বরে তৃনমূল ছেড়ে দক্ষ সংগঠক হিসাবে পরিচিত মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করলেও এখনও সেইভাবে কোনোও পদই পাননি তিনি তাঁর নতুন দলে। কিন্তু সিপিএম থেকে বহিস্কৃত সাংসদ ঋতব্রত তৃনমূলে যোগ না দিয়েও সরকারি পদ পেয়ে গেলেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম থেকে বহিস্কৃত ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তৃনমূলে যোগ না দেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে সরকারি পদ দিয়ে একদা নিজের ‘ছায়াসঙ্গী’ অধুনা বিজেপির পদহীন নেতা মুকুল রায় ও তাঁর অনুগামীদের বার্তা দিলেন। অন্যদিকে অন্যান্য বিরোধী দল থেকে যাঁরা বিজেপি না তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে দোলাচলে আছেন তাঁদের স্পষ্ট বার্তা দিলেন তাঁর দলে এলে পূর্ন সম্মান দিয়ে মর্যাদা পাবেন, কিন্তু বিজেপিতে গেলে মুকুল রায়ের মত পদহীন হয়েই থাকতে হবে। ফলে আগামী দিনের রাজনৈতিক লড়াইয়ে একদা তাঁর দলেরই অঘোষিত দুনম্বর নেতাকে কার্যত কোনঠাসা করে দিলেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের জল্পনা। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছে মুকুল রায়ের হাত ধরে রাজ্য-রাজনীতির অনেক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী নাকি বিজেপিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন, যার মধ্যে নাম ভাসছে শাসকদলেরও বেশ কিছু নেতার। কিন্তু ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন বড়সড় প্রশ্নই তুলে দিলেন সেইসব দলবদলের চিন্তাকারী নেতা-নেত্রীদের, তার থেকেও বড় কথা যেন প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলেন স্বয়ং মুকুল রায়ের দিকে যে আমার দল থেকে যখন গিয়েছিলেন তখন ছিলেন সহ-সভাপতি আর বিজেপিতে গিয়ে এখনো পদহীন। আগে নিজে একটা পদ পান, তারপর নাহয় দল ভাঙানোর কথা ভাববেন – সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল সমর্থকদের এখন মূল আলোচ্য বিষয় এটিই। আপনার মতামত জানান -