এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বেহাল রাস্তার জন্য বিক্রি নেই ফসল, বাংলায় রাস্তায় ৫ কুইন্টাল উচ্ছে ঢেলে প্রতিবাদ কৃষকদের

বেহাল রাস্তার জন্য বিক্রি নেই ফসল, বাংলায় রাস্তায় ৫ কুইন্টাল উচ্ছে ঢেলে প্রতিবাদ কৃষকদের


ঋণ নিয়ে চাষ করে উচ্চ হারে  উচ্ছে চাষ করেও সুদিন ফিরছেনা কৃষকদের। ঘটনাটি ঘটেছে এই রাজ্যেরই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার কুলতলিতে। সংশ্লিষ্ট এলাকার  হুকাহারানি পাইকারি বাজারে এদিন হঠাৎই উচ্ছের দআম নেমে যায় প্রতি কেজি ২ টাকায়। আর এতেই কৃষক কূল ক্ষেপে ওঠে। যদিও পাইকাররা জানিয়েছেন রাস্তা বেহাল হওয়ার জন্য কোনও মালবাহী গাড়ি এলাকায় ঢুকতে পাচ্ছেনা। ফলে কৃষিজাত পণ্য কলকাতায় রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছেনা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পাইকারদের সাথে বাক বিতণ্ডায় এই সমস্যার কোনো সুরাহা না হও্যায় এলাকার কৃষকেরা অত্যন্ত রুষ্ট হয়ে রাস্তার উপর সব মিলিয়ে পাঁচ কুইন্টাল উচ্ছে ফেলে অবরোধ শুরু করেন। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে। এই ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ সহ প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভরতদের এই বিষয়টি দেখবেন জানিয়ে আশ্বস্ত করলে অবরোধ উঠে যায়। এই প্রসঙ্গে  বারুইপুর মহকুমা শাসক দেবারতি সরকার বললেন, ” বিষয়টি নজরে এসেছে। রাস্তা খারাপের জন্য এমন হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

কুলতলির পেটকুলচাঁদ থেকে মৈপীঠ পাঁচমাথা মোড় পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩১ কিলোমিটার রাস্তা। এরমধ্যে ১৬ কিলোমিটার পূর্ত দপ্তরের অধীন। তার কাজ করার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি বাকি ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে ৪ কিলোমিটার রাস্তার কাজ জেলা পরিষদ থেকে করছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। পরবর্তী পর্যায়ে বাকিটা করা হবে।” উল্লেখ্য কুলতলি ব্লকের পেটকুলচাঁদ থেকে মৈপীঠ পাঁচমাথা গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক এক বছর ধরে বেহাল। পুরো ৩১ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে কুলতলি ব্লকের সকল বাসিন্দার প্রিদিন যাতায়াত করেন।

সেই রাস্তা গত এক বছর যাবৎ খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন , এলাকার জন প্রতিনিধি কারোরই কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। অন্যদিকে কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদার বললেন, “এই ব্লকে প্রশাসন বলে কিছু নেই। বিডিও থেকে বিএলআরও অফিস থাকলেও তা খাতা-কলমে রয়েছে। এখানকার মানুষের কোনও সমস্যা সমাধানে কাজে আসে না। কুলতলি মৎস্যজীবী ও কৃষকদের বাস। বিশেষ করে ভাসা, ভুবনেশ্বেরী, মৈপীঠ সহ সংলগ্ন এলাকা জুড়ে বিঘের পর বিঘে জমিতে উচ্ছের চাষ হয়। প্রতিবারের মতো এবারও ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে পেটকুলচাঁদ থেকে মৈপীঠের রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে। এক হাত অন্তর বড় বড় গর্ত।

এখন বর্ষায় সেই গর্ত জলে ডুবে গিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে গিয়েছে। এই বেহাল অবস্থার জন্য গত ছ’ মাস ধরে বাস ও বড় গাড়ি চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই সব এলাকা দিয়ে উৎপাদিত ফসল থেকে শুরু করে কলকাতা যাতায়াত খুবই কষ্টকর হয়ে গিয়েছে।” এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুবার এ নিয়ে বিডিওকে বলা হয়েছে। বেশ কয়েক দফা ডেপুটেশন দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। তাই উচ্ছের দাম কমে যেতেই বিষয়টি প্রশাসনিক কর্তাদের নজরে  আনতে এই পদক্ষেপ নিলো কৃষকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!