মোদী মমতার লড়াই এবার পৌঁছালো ‘সড়ক’ অবধি, প্রকল্পের নাম পাল্টানোর অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে জাতীয় রাজ্য December 20, 2018 এবার নির্মিত রাস্তার নাম নিয়ে মোদী-মমতার লড়াই রাজনৈতিকমহলে শোরগোল ফেলে দিল। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তার বোর্ড রাতারাতি পাল্টে গেল। তাতে নতুন করে লেখা হয়েছে বাংলার গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা। এখন প্রশ্ন হল রাস্তাটি কোন প্রকল্পের? কেন্দ্রীয় সরকারের নাকি রাজ্যসরকারের প্রকল্প? এনিয়ে জোর তর্জা শুরু হয়েছে তৃণমূল বনাম বিজেপি শিবিরে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানেরই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার একাধিক নির্মীয়মান বা নির্মিত রাস্তার নাম বোর্ডে এক রাতের মধ্যেই পাল্টে গিয়েছে। বোর্ডগুলোকে সাদা রঙে মুছে নতুন করে লেখা হয়েছে রাস্তাগুলি বাংলার গ্রাম সড়ক যোজনার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর,প্রায় ১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা বরাদ্দে ডাবগ্রাম দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে হাতিডাঙা থেকে ঘাসিয়া,ফাপড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মান করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায়। ২৪ ঘন্টা আগেও সে রাস্তার বোর্ডে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা লেখা ছিল,সেটাতেই সাদা রঙ করে নতুন করে লেখা হয়েছে রাজ্যসরকারের প্রকল্পের নাম। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তীর রয়েছে তৃণমূলের দিকে। তাঁদের বক্তব্য,নির্বাচনী প্রচারমূলক কর্মসূচির স্বার্থে জোর করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের নাম পাল্টে দিয়েছে তৃণমূল। এবিষয়ে বিজেপি -র যুব সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সরকার অভিযোগে জানিয়েছে,পুলিশের মদত নিয়ে তৃণমূলের লোকসভা মর্জি খাটিয়ে এ কাজ করেছে। তবে এ অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা সন্ধ্যা রায়। তিনি এ বিষয়ে জানান,কোথায় কোন বোর্ডে কী হয়েছে, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অন্যদিকে,পঞ্চায়েত প্রধান সুধা সিংহ চ্যাটার্জী বলেন, কী হয়েছে আসলে সেটা খোঁজ নিতে হবে। তবে তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা এখন বাংলার আবাস যোজনা। এক্ষেত্রে হয়তো প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা বাংলার গ্রাম সড়ক যোজনা হয়ে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সঠিক কী হয়েছে সে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে পুলিশের বিরুদ্ধে মদত দেওয়ার যে অভিযোগটি উঠছে সে ব্যাপারে স্থানীয় থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই সংশ্লিষ্ট বোর্ড বদলের সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল ঠিকই তবে তাঁরা কাউকে সাহায্য করেনি। কী হচ্ছে সেটা শুধু দেখতে গিয়েছিল পুলিশ। কারা এভাবে প্রকল্পের নাম পাল্টেছে সে ব্যাপারে কোনো ধারনা নেই পুলিশের। গোটা ঘটনাটিকে নিয়েই তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ঘটনার রহস্যোদ্ধার হচ্ছে ততক্ষণ এই চর্চা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞমহল। আপনার মতামত জানান -