প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও প্রবলতর আকার নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বর্তমানে রাজনৈতিক হানাহানিতে পরিবর্তিত হচ্ছে সেকথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছে সবাই। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রমাগত হানাহানির ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। যতই বাংলায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা পারদ, ঠিক সেভাবেই বর্তমানে বাংলায় বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক হানাহানি।

এরকমই একটি ঘটনা ঘটল বুধবার রাতে তুফানগঞ্জ 2 ব্লকের বড় শালবাড়ি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের তাল্লিগুড়ি গ্রামে। সূত্রের খবর, এদিন বিজেপির মণ্ডল কমিটির এক সদস্যের বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। রাতের অন্ধকারে ওই সদস্যের বাড়িতে ঢুকে সদস্যসহ তাঁর দুই মেয়ে এবং ছেলেকে দুষ্কৃতীরা রড, ছুরি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ওই বিজেপি নেত্রী সহ তাঁর দুই মেয়েকে আহত অবস্থায় রাতেই ভর্তি করা হয় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। যদিও দুই মেয়ের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাঁদেরকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূলের দিকে। তাঁদের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বলে খবর। অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির 25 নম্বর মন্ডল কমিটির সদস্যা মমতা বর্মন এদিন জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে রাতের অন্ধকারে 6-7 জন যুবক রড, ছুরি নিয়ে হামলা করে।

তিনি আরও জানান, বাড়িতে ঢুকেই ওই দুষ্কৃতীরা উক্ত বিজেপি সদস্যা ও তাঁর দুই মেয়ে এবং ছেলেকে রড দিয়ে বেধড়ক মারধোর শুরু করে। কি কারনে মারধোর করছে, তা জানতে চাইলে তাঁরা কোন উত্তর দেয়নি বলে জানা গেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সংযোজক উৎপল দাস জানিয়েছেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রাতে মহিলা বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে মারধর মারধর করেছে।ঞ্জানা গিয়েছে, ঘটনার পর তুফানগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আহত বিজেপি মহিলা সদস্যা।

দুষ্কৃতীরা অবশ্য মারধর করে আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখেই চম্পট দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয়রাও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত আতংকিত হয়ে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত পুলিশ তদন্তে নেমেছে, কিন্তু পুলিশের হাতে এখনো পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যত সময় যাবে ততই রাজনৈতিক হানাহানি বেড়ে উঠবে, কারণ সামনেই আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন।