এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ‘রগড়ে দেব’ ভাবমূর্তি উধাও! বেকায়দায় পড়তেই মমতার হাতে হাত মিলিয়ে কাজের অঙ্গীকার দিলীপের!

‘রগড়ে দেব’ ভাবমূর্তি উধাও! বেকায়দায় পড়তেই মমতার হাতে হাত মিলিয়ে কাজের অঙ্গীকার দিলীপের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির দিলীপ ঘোষ এবং বিতর্ক যেন সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার নানা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হতে দেখা যায় রাজ্যজুড়ে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে সেই মাত্রা আরও দ্বিগুন ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। একের পর এক বেলাগাম মন্তব্য এবং শাসক দলের বিভিন্ন নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের উদ্দেশ্যে তার হুঁশিয়ারি নিয়ে চর্চা শুরু হয় রাজ্যজুড়ে।

বিশিষ্টজনের পক্ষ থেকে একজন রাজনৈতিক দলের প্রধান ব্যক্তির পক্ষ থেকে এই ধরনের মন্তব্য কি আশা করা যায়, তা নিয়ে তোলা হয় প্রশ্ন। কিন্তু তারপরেও কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বারমুডা পড়ার মন্তব্য, আবার কখনও বা রগড়ে দেওয়ার কথা বলে কার্যত বিতর্কের শিরোনামে আসতে দেখা গেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। তবে যে সমস্ত কারণে এই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সেই মূল লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি তিনি।

বিজেপি 200 আসন পাবে বলে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতারা দাবি করলেও, শেষ পর্যন্ত দলকে 77 টির বেশি আসনে জয়লাভ করতে সক্ষম হননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দিলীপ ঘোষ এবার কি সুর নরম করতে শুরু করলেন? এবার করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য সকলের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত বলে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। আর তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

সূত্রের খবর, রবিবার ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে করোনা ভাইরাস বাড়তে শুরু করেছে, তার বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “দেশ এবং রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনার নতুন রূপে ঢেউ আছড়ে পড়েছে। আক্রান্তদের জন্য বেড, অক্সিজেন এবং ওষুধের টানাটানি চলছে। এই আবহে রাজ্য, কেন্দ্রীয় সরকার, বিশেষজ্ঞ এবং আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের প্রয়োজন।”

আর হঠাৎ করে সুর নরম করার মত এই বার্তা কেন দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, বাংলায় প্রবাদ প্রবচন রয়েছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। দিলীপ ঘোষের মত নেতারা অনুভব করতে শুরু করেছেন, তারা এতদিন যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন, তা বাংলার সংস্কৃতির অঙ্গ নয়। আর সেই কারণেই তাদেরকে বাংলার মানুষ পরিত্যাগ করেছেন। তাই এখন সরকারকে সহযোগিতা করার কথা বলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। তবে অনেকে দিলীপ ঘোষের এই সুর নরম করাকে খুব একটা ভালো চোখে নিচ্ছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, এই দিলীপ ঘোষ একসময় করোনা পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছিলেন। এমনকি সরকারকে কটাক্ষ করে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্বে দল ভালো ফল করবে বলে আশা করেছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতারা। কিন্তু কার্যত মুখ থুবরে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এখন দিশেহারা হয়ে সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে তাদের। তবে কতদিন করোনাকে মোকাবিলা করতে গঠনগত ভূমিকা পালন করতে দেখা যাবে বিজেপিতে রাজ্য সভাপতি এবং তার দলকে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সমালোচক মহলের একাংশ।

তবে দিলীপ ঘোষের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বার্তা দেওয়া হলেও, তা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছে একপক্ষ। তবে তাকে খুব একটা ভালো চোখে দিচ্ছে না বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের দাবি, হয়ত বা দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি। কিন্তু 77 টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর বিরোধী দলের আসন দখল করার পর থেকেই পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারের ভালো কাজের সাথে সব সময় থাকবে বিজেপি। আর খারাপ কাজ হলে তারা তার গঠনগত বিরোধিতা করবেন।

তাই দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন, তা একদম প্রকৃত বিরোধী দলে থাকা নেতাদের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে করোনা পরিস্থিতি আটকানোর জন্য কি করা উচিত, সেটাই বাতলে দিয়েছেন। এর সঙ্গে রাজনীতি খোঁজা বৃথা। তবে দিনের শেষে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সমালোচক মহল, সকলের মনেই একটা প্রশ্ন দানা বেঁধেছে, তাহলে কি পরাজিত হওয়ার পর এবার সুর নরম করতে শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষ? আর তাই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সকলের একসাথে চলা উচিত বলে এই ধরনের বার্তা দিতে দেখা গেল তাকে? যে নেতার গলায় প্রতিমুহূর্তে হুঁশিয়ারি এবং সতর্কবার্তা শোনা যায়, তার গলায় এই ধরনের নমনীয় সুর যে রাজ্য রাজনীতিতে এখন প্রধান আলোচ্য বিষয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!