এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > শাসকদলের এক শ্রেণীর নেতার হাত ধরে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা

শাসকদলের এক শ্রেণীর নেতার হাত ধরে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা


কলকাতার এক প্রথমশ্রেণীর দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। ওই সংবাদপত্রের প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, এখন আর শুধু বাংলাদেশেই নয়, সীমান্ত অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে অনায়াসেই অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার খবর অনুযায়ী, আড়াই হাজার কিমি বাংলাদেশ সীমান্তের ও পারে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা এসে জড়ো হয়েছেন। গত ১২ মার্চ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে গঠিত স্টেট মাল্টি এজেন্সি সেন্টার (স্ম্যাক)-এর বৈঠকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। আর সেখানে রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের প্রতিনিধিরা পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের কথা স্বীকারও করেছেন। দক্ষিণবঙ্গের সন্দেশখালি, সরবেড়িয়া, বারুইপুর-বজবজে কয়েকশো রোহ‌িঙ্গা পরিবার বসবাস ও শুরু করেছে।

ওই সংবাদপত্রের খবর থেকে আরো জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুসারে এই রোহিঙ্গারাদের সীমান্ত পার করে এ পারে আনার কাজে বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে এবং ওই সংস্থাগুলির কাছে পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সাহায্য আসছে বলে জানা গেছে। এমনকি এই সংস্থাগুলির সাথে রাজ্যের শাসকদলের এক শ্রেনীর নেতার প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথাও অস্বীকার করা হচ্ছে না। গত ১২ ই মার্চে স্ম্যাক এর বৈঠকে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে আসে যে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের কাজে কর্তব্যরত বিএসএফের একাংশ সক্রিয়ভাবে যুক্ত না থাকলে এটা সম্ভব নয়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বারুইপুরের কাছে হাড়দহ গ্রামে এরমধ্যেই প্রায় আড়াইশো রোহিঙ্গা বসবাস শুরু করেছেন। মার্চ মাসেও আরও ৭০ জন এখানে এসেছেন।

ওই সংবাদপত্রের খবরে আরো দাবি করা হয়েছে, পুলিশ সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জলপথে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে সন্দেশখালি-সরবেড়িয়ায় প্রথম আসছে রোহিঙ্গার দল। সেখান থেকে তাঁরা বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বে যাচ্ছেন। তারপর ধীরে ধীরে কক্সবাজার থেকে এ রাজ্য হয়ে দক্ষিণ ভারতেও পৌঁছে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। রাজ্যে গোয়েন্দা বিভাগ বৈঠকে জানায়, সীমান্ত লাগোয়া বেশ কিছু ধর্মশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের এনে তোলার পরিকল্পনার কথা তাঁরা জেনেছেন। বিশেষ করে সম্পন্ন পরিবারে মহিলা ও শিশুদের যাতে আশ্রয় দেওয়া হয়, সেই বার্তাও ওই প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে প্রচার করা হচ্ছে। রাজ্য গোয়েন্দা কর্তারা মনে করছেন, যে ভাবে এ পারে জামাতুল মুজাহিদিন-বাংলাদেশ (জেএমবি), আল কায়দার বাংলাদেশ শাখা আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) জঙ্গিরা একে একে ধরা পড়ছে, তার ফলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুধুমাত্র জনসংখ্যার উপরই চাপ তৈরী করবে না, পাশাপাশি নিরাপত্তার ঝুঁকিও খানিকটা বাড়িয়ে দেবে। এরফলে অতি সহজেই আশ্রয়প্রার্থীর ছদ্মবেশে শুরু হয়ে যেতে পারে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ)-এর কাজকর্মও। এই বিষয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী রাজ্যের মুখ্য সচিব মলয় দে’কে তলব করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জবাব চেয়েছেন।

যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই সংবাদপত্রে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!