এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রোজভ্যালি কাণ্ডে নয়া মোড়! বড়সড় পদক্ষেপ ইডির – জানুন বিস্তারিত

রোজভ্যালি কাণ্ডে নয়া মোড়! বড়সড় পদক্ষেপ ইডির – জানুন বিস্তারিত


সারদা-কাণ্ড ধরা পড়ার পর একের পর এক দুর্নীতি পূর্ণ স্কিমের কথা প্রকাশ হতে থাকে। আর সেভাবেই প্রকাশ হয় রোজভ্যালির কথা। সেসময় রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডু গ্রেপ্তার হন। কিন্তু রোজভ্যালি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের রিপোর্টের সঙ্গে রোজভ্যালি কর্তাদের বয়ান মেলেনা। আর তাতেই ব্যবস্থা নিতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি এইবার রোজভ্যালি তদন্তে গতি আনতে গৌতম কুন্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুন্ডুর বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় হানা দিল ইডির গোয়েন্দারা।

বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশি চালায় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। তাঁরা রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া গৌতম কুন্ডুর স্ত্রী শুভ্র কুন্ডুর বাড়িসহ আরও সাত জায়গায় পৌঁছান। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রোজভ‍্যালি গোষ্ঠীর আরেকটি স্বর্ণ বিপনী অদ্রিজার টাকা লেনদেন সংক্রান্ত কিছু খোঁজখবর নেওয়ার জন্য এদিন তল্লাশি চালায় ইডি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি দল প্রথমে শুভ্রা কুন্ডুর বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, শুভ্রা কুন্ডু কলকাতার বাইরে।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাকারীর সন্দেহের নিরসন করতে ইতিমধ্যে শুভ্রা কুন্ডুকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা সযত্নে হাজিরা এড়িয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গৌতম কুন্ডুর রোজভ্যালি সংস্থা থেকে বহু হিসাব বহির্ভূত টাকা-পয়সা ঘুরপথে তাঁদের স্বর্ণবিপণী অদ্রিজাতে প্রবেশ করেছে। শুভ্রা কুন্ডু যেহেতু অদ্রিজার দেখভাল করতেন, তাই এবার শুভ্রা কুন্ডুকে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

অদ্রিজার কথা এর আগেই জানতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু সেসময় অদ্রিজার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পরবর্তীকালে সামনে আসে তদন্তকারী আধিকারিক মনোজ কুমারের সাথে শুভ্রা কুন্ডুর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এর ফলে সেই সময় অদ্রিজা বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পায়। পরবর্তীতে ঘটনা সামনে আসার পরে মনোজ কুমারকে ইডির পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এই নিয়ে সেসময় রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা চলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইডির গোয়েন্দারা এদিন রোজভ্যালির বিনোদন সংস্থা ব্র্যান্ডভ্যালু কমিউনিকেশনের শীর্ষ আধিকারিক রূপল কবিরাজের বাড়িতেও যায় তদন্ত করতে। এর আগেও অনেকবার জেরা করা হয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যে জানা গেছে, রোজভ্যালির টাকা ঘুরপথে এই বিনোদন সংস্থাতেও এসেছে। ইডি সূত্রে জানা গেছে, ব্র্যান্ড ভ্যালু কমিউনিকেশনের ব্যবসাও দেখতেন শুভ্রা কুন্ডু। রোজভ্যালি কোম্পানির শীর্ষকর্তা গৌতম কুন্ডু গ্রেপ্তার হওয়ার পর বেশ কিছু বেনামী সম্পত্তি রোজভ্যালির, বিক্রি করার চেষ্টা করেন রুপল কবিরাজ। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তদন্তকারীরা।

রুপল কবিরাজের বক্তব্যের সূত্রে সুদীপ্ত রায় চৌধুরী নামে এক নির্মাণ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। এর আগে গৌতম কুন্ডু কথার উপর ভিত্তি করে সুদীপ্ত রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। কলকাতার এই তিন জায়গায় তল্লাশি চললেও রাজ্যের মালদা জেলা এবং হাওড়া জেলার দুই জায়গাযতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্হা এদিন। সূত্রের খবর, ওই দুই জেলাতেও রোজভ্যালি গোষ্ঠীর বেশকিছু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে। অতএব তদন্তকারী সংস্থার আরও তল্লাশির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে ওই দুই জেলায় হাজির হন।

রোজভ্যালি কাণ্ডে সিবিআই-এর এই পদক্ষেপের পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রোজভ্যালি কাণ্ডে সিবিআই-এর পদক্ষেপে যদি প্রশাসন স্তর থেকে সাহায্য করা হয়, তাহলে রোজভ্যালি কাণ্ডে অনেক মাথাই এবার সামনে আসবে। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, রোজভ্যালি কাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ইতিমধ্যে অনেক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব সিবিআইয়ের নজরবন্দি হয়েছেন। অনেকেই সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন। তারমধ্যে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীও আছেন। তাই এবার দেখার প্রশাসক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রোজভ্যালি কাণ্ডে তদন্তের গতি প্রকৃতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কতটা সাহায্য করে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!