এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রোজভ্যালি কর্তার মুক্তি শর্তসাপেক্ষে, রয়েছে কড়া পুলিশি নজর

রোজভ্যালি কর্তার মুক্তি শর্তসাপেক্ষে, রয়েছে কড়া পুলিশি নজর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর একের পর এক দুর্নীতিপূর্ণ স্কিমের কথা প্রকাশ হতে থাকে। আর সেভাবেই প্রকাশ হয় রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির কথা। সে সময়ে রোজভ্যালির গৌতম কুন্ডু গ্রেপ্তার হন ইডির হাতে। দীর্ঘ সময় তিনি জেলে রয়েছেন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে। কিন্তু হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন গৌতম কুন্ডুর মা। তাই রোজভ্যালি কর্তা জামিনের আবেদন করেন হাইকোর্টে। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। কার্যত যেহেতু তদন্ত চালাচ্ছে ইডি, তাই জামিন মঞ্জুর হয়না তাঁর। কিন্তু এরপর রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুন্ডু অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। আর সেই আবেদন মঞ্জুর করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

জানা গিয়েছে, মায়ের অসুস্থতার কারণে এক সপ্তাহের জন্য প্রেসিডেন্সি জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন রোজভ্যালি গৌতম কুন্ডু। আগামী 9 আগস্ট থেকে সাত দিনের জন্য তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। 16 ই আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় তাঁকে আবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফেরত আসতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুরু হবে আবার বন্দিজীবন। তবে অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য রোজভ্যালি কর্তাকে জমা দিতে হচ্ছে 50 হাজার টাকা এবং 10000 টাকার দুটি সিকিউরিটি বন্ড।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

2015 সালের মার্চ মাসে ইডির হাতে গৌতম কুন্ডু ধরা পড়েন। তার রোজভ্যালি কর্তার বিরুদ্ধে সেবির পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইডির করা গৌতম কুন্ডুর বিরুদ্ধে প্রথম আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ উঠেছিল, তিনি 12 কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন। 2015 সালে রোজভ্যালি কর্তার সমপরিমাণ সম্পত্তি ইডির পক্ষ থেকে বাজেয়াপ্ত করে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। 2015 সালের মে মাস থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন থানায় পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয় গৌতম কুন্ডুর বিরুদ্ধে। সেসময় 4 হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে।

এখনো পর্যন্ত নগদ ও সম্পত্তি মিলিয়ে 14 কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করতে পেরেছে ইডি রোজভ্যালি কর্তার। গৌতম কুন্ডুর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা পড়লেও ভারতীয় দণ্ডবিধির 173 ধারায় ইডি আদালতে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে রেখেছে। তাই মামলা চলার পাশাপাশি এই মামলার তদন্ত চলছে পুরোদমে। অন্যদিকে প্যারোলে মুক্তি পেলেও গৌতম কুন্ডুর ওপরে কিন্তু পুলিশি নজরদারি থাকছে। কার্যত কোনভাবেই যাতে গৌতম কুন্ডু পুলিশের হাতছাড়া না হয়, সেকথা মাথায় রেখেই প্যারোলে মুক্তিপ্রাপ্ত রোজভ্যালি কর্তার ওপর কিন্তু কড়া নজর থাকছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!