এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোলেই জরিমানা 500 টাকা! লকডাউন সফল করতে নয়া পন্থা

জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোলেই জরিমানা 500 টাকা! লকডাউন সফল করতে নয়া পন্থা


জীবন থাকলে সব থাকবে। করোনা ভাইরাসের দাপটে যখন গোটা বিশ্বে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছিল, তখন ভারতবর্ষ এর ভয়াবহতা বুঝে আগেভাগেই লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হলেও, শহরাঞ্চলগুলিতে মানুষ নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে বাইরে বের হতে থাকেন। যার ফলে সেই লকডাউন অনেক জায়গাতেই ভেস্তে যায়। বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

তবে শহরাঞ্চলগুলিতে করোনা ভাইরাসে এই লকডাউন ভাঙ্গার কারণে বৃদ্ধি পেলেও, এবার গ্রাম এই ব্যাপারে পথ দেখাল শহরগুলিকে। অনেকে বলেন, অর্থ যেমন মানুষের খুশির কারণ, ঠিক তেমনই এই অর্থ দেখিয়ে অনেক সময় মানুষকে চাপে রাখা যায়। লকডাউনের সময় অনেকেই অনেক অনুষ্ঠান পালনে যেতে উদ্যোগী হয়েছেন। তবে এই ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়য়া এবং লাগোয়া গ্রাম কর্তৃপক্ষের তরফে একটি নতুন নিয়ম জারি করা হয়।

যেখানে জানানো হয় যে, স্থানীয় বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ধর্মরাজের পূজায় যদি কেউ বাড়ি থেকে বের হন বা যদি কাউকে বাইরে দেখা যায়, তাহলে তার কাছ থেকে 500 টাকা জরিমানা নেওয়া হবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের অনেকেই ধর্মপিপাসু হওয়ায় তারা যে এই পুজো দেখতে আসবেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল গ্রামের প্রত্যেকে। আর তাই পরিস্থিতি বাগে আনতে এবং সাধারন মানুষ যাতে বাড়ি থেকে না বের হন, তার জন্য গ্রামের হর্তাকর্তা বিধাতারা বাড়ি থেকে বেরোলেই 500 টাকা জরিমানা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে কিছু মানুষ সেই ধর্মরাজের পুজোতে গিয়েও, অর্থ দেওয়ার ভয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছেন। অনেকে বলছেন, এভাবে অর্থের জুজু দেখিয়ে গ্রাম কর্তৃপক্ষ যে পদ্ধতি অবলম্বন করছেন, তা সত্যিই নিন্দনীয়। তবে অনেকে আবার বলছেন, গ্রাম কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। কেননা মানুষের জীবন সবার আগে। সেদিক থেকে কিছু কিছু মানুষ পুজোয় যাবে এবং তার ফলে লকডাউন যে ভাঙবে, কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।

আর তার মধ্যে এখন পরিযায়ী শ্রমিকরা বিভিন্ন জায়গায় ফিরে আসতে শুরু করেছেন। তাই কার শরীরে ভাইরাস আছে, তা কেউ জানেন না। তাই এই পরিস্থিতিতে পুজো হলেও সেখানে যাতে ভিড় না হয়, তার জন্যই গ্রাম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যার ফলে জনসমাগম না হওয়ায় আদতে সুরক্ষিত থাকলেন সেই জনতা জনার্দন।

এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার এই গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব ভট্টাচার্য বলেন, “তেমন ভাবে কাউকে নিয়ম ভঙ্গ করতে দেখা যায়নি। দুজন ভেঙেছিলেন বটে, তবে সঙ্গে সঙ্গে ভুল স্বীকার করে নেওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সকলে কঠোরভাবে নিয়ম পালন করেছেন।” সব মিলিয়ে শহরাঞ্চলে যখন লকডাউন ভাঙছে, তখন গ্রামে অর্থের ভয় দেখিয়ে লকডাউন পালন অনেকের কাছেই মডেল হয়ে উঠল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!