নতুন মোড়কে হাজির হতে চলেছে সঙ্ঘ? সংবাদপত্রের রিপোর্ট ঘিরে জল্পনা চরমে জাতীয় August 31, 2018July 16, 2021 “কট্টর হিন্দুদের মত সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের চেষ্টা করছে আরএসএস”- দীর্ঘদিন ধরে সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে আসছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যা নিয়ে সাধারন মানুষের মনেও এই সঙ্ঘের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। এবারে তাই সেইসব ‘মন্দ’ ধারণা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুসরণ করে বিপণনের পথই ধরতে চাইছেন তাঁরা-এমনটাই দাবি কলকাতার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের। ওই সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মানুষকে সরল জীবনযাপন এবং দেশপ্রেমের শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা এবং উদ্দেশ্য থাকলেও তাঁদের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে ক্রমশ বিরূপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে সর্বত্র। পাশাপাশি এই ব্যাপারে নিজেদের যে কিছুটা ত্রুটি রয়েছে তা মানছেন সঙ্ঘের কর্তারা। কারন, মধ্যবিত্ত সমাজের মানুষের মধ্যেও এখনও তাঁদের আপ্তবাক্য প্রবেশ করাতে তাঁরা অসমর্থই রয়ে গেছেন। ওই সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক দল-সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ আরএসএসকে যে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে এবার এই তকমা ঝেড়ে ফেলে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত নরম হিন্দুত্বের প্রতীক ও অহিংস হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবার। আর এই কাজ করতে গেলে সাধারনের সঙ্গে ‘আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে নিজেদের মার্কেটিং কৌশলকে কাজে লাগাতে চাইছে তাঁরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেই আরএসএসের অনুষ্টানে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং শিল্পপতি রতন টাটাকে হাজির করে দেশবাসীর মন থেকে সঙ্ঘ সম্পর্কে কট্টর হিন্দুত্বের ভাবনাকে মুছতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেটাও খুব একটা কাজে দেয়নি। সূত্রের খবর, এবার সেই কাজকে সম্পন্ন করতে এবং দেশবাসীর মনে সঠিক জায়গা লাভ করতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরিদের মতো নেতাদের নিজেদের মঞ্চে হাজির করাতে চাইছে সঙ্ঘ। তবে সঙ্ঘের অনেকেরই আশঙ্কা, সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত ভোটারদের অনেকেই বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের ওপর খুশি নন। পাশাপাশি কংগ্রেসের অনেক সমর্থক যাঁরা আরএসএসের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ পছন্দ করেন না। তাই এই সমস্ত মানুষকেই এবার নিজেদের দিকে টেনে আনাই আরএসএসের প্রধান লক্ষ্য। সব মিলিয়ে এখন জনমানসে নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক করতে উদ্যোগী সঙ্ঘ পরিবার এমনটাই জানা যাচ্ছে ওই সংবাদমাধ্যম থেকে। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -