এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অভিমান ভুলে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতেই “ঠিকঠাক ভোট” বিক্ষুব্ধ নেতাদের বলে আশায় শাসকের শীর্ষস্তর

অভিমান ভুলে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতেই “ঠিকঠাক ভোট” বিক্ষুব্ধ নেতাদের বলে আশায় শাসকের শীর্ষস্তর


অনেকেই ভেবেছিল, তৃণমূলের বিক্ষোভ নেতারা হয়তো বা এবার বিরোধীদের সুবিধা করে দিয়ে তৃণমূলকেই বিপদে ফেলতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বীরভূমের 2 লোকসভা কেন্দ্রেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতারা দাপিয়ে ভোট করালেন।

বস্তুত, ভোটের আগে এই বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে দলের অন্দরে কিছুটা হলেও চিন্তা থাকলেও ভোটের পরে চুলচেরা বিশ্লেষণে সেই নেতারা নিজ নিজ এলাকায় যে দায়িত্ব পেয়েছেন সেই এলাকায় তারা লিড দেবেন বলে আশাবাদী জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যার মধ্যে রয়েছে, নানুরের এক সময়কার দাপুটে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ।

একসময় সিপিএমের সঙ্গে প্রবল লড়াই করে শুধুমাত্র এই নানুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই 62 হাজার ভোটে দলকে লিড পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে পরবর্তীতে দলের বিরুদ্ধে চলে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।

আর এহেন কাজল শেখ এবারের লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপক্ষে কাজ করলে তাদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে গেরুয়া শিবির আশা প্রকাশ করলেও দলের হয়েই কাজ করতে দেখা গেছে কাজল শেখকে। এদিন এই প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, “আমি পুরো নানুরের দায়িত্বে নেই। তবে আমার অঞ্চল চারচোলে আমি আবার যতটা সম্ভব লিড দেব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এক সময়ে তৃণমূলের বিতর্কিত নেতা হিসেবে পরিচিত উজ্জ্বল কাদেরি দীর্ঘ তিন দলের মূল স্রোতে না থাকলেও এবার ভোটের সময় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের জন্য ব্লক সভাপতি খুনে অভিযুক্ত এই নেতাকে ফের জামিন করিয়ে এনেছে শাসক দল। যদিও বা এই ব্যাপারে সেই উজ্জ্বল কাদেরি বলেন, “আমাকে বড়রা অঞ্চল দেখতে বলা হয়েছে। ওখানে ভালো ভোট হয়েছে। আমি বেশ কয়েক হাজার ভোটে লিড দেব।”

অন্যদিকে সাঁইথিয়ার বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল নেতা সাধন মুখোপাধ্যায়ও এবার নিজের এলাকা থেকে ব্যাপক পরিমাণে লিড দেবেন বলে জানিয়ে দেন। আর তৃণমূলের একসময়কার বিক্ষুব্ধ নেতারা ফের দলের মূলস্রোতে এসে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ঝাপালে বিজেপি তথা বিরোধীদের স্বপ্ন অনেকটাই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাউন্ট।

কেননা বীরভূম জেলায় এই সমস্ত নেতারা তৃণমূলে বিক্ষুব্ধ হওয়ায় সেখানে বিরোধীরা সেই সমস্ত নেতাদেরকে দিয়ে অনেকটাই নিজেদের দিকে ভোট টানতে পারত বলে যখন মনে করতে শুরু করেছিল বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা, ঠিক তখনই সেই তৃনমূলের বিক্ষুব্ধরা ফের নিজের এলাকার সামলানো এবং দলের প্রতি মনোযোগী হওয়ার বিরোধীদের ভোটব্যাংক অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

কিন্তু দলের অন্দরে একদা বিক্ষুব্ধ থাকা নেতাকর্মীরা ফের লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করায় তাহলে কি এটা তার নকুলদানা ফ্যাক্টর? এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সবাই তৃণমূল পরিবারের অংশ। ঘর বড় করলে একটু মান অভিমান থাকবেই। সকলেই তৃণমূলের হয়ে ভোট করেছে। অন্য কিছু করলে তার ওষুধ তো আছেই।”

এদিকে এই ব্যাপারে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “মনে রাখবেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতদের সংখ্যাটা এই জেলায় নেহাত কম নয়। বিজেপি নানা ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবে যা উপর থেকে বোঝা যাচ্ছে না। তাই ফল ঘোষণার আগে এ নিয়ে বেশি কিছু বলব না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!