এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > টিকিট পাওয়া নিয়ে শাসকদলের অভ্যন্তরীণ লড়াই চরমে, ফায়দা তুলবে কি গেরুয়া শিবির?

টিকিট পাওয়া নিয়ে শাসকদলের অভ্যন্তরীণ লড়াই চরমে, ফায়দা তুলবে কি গেরুয়া শিবির?

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ নিয়ে দলীয় চাপানউতোরের মধ্যেই তৃণমূলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসকদলের আভ্যন্তরীন বিদ্রোহের ইঙ্গিত পাওয়া গেল।

ওই ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলার শৈলেন দাশগুপ্তের স্ত্রী কল্যাণীদেবী শাসকদলের টিকিটের আশায় ছিলেন। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য তারক সিংয়ের ছেলে অমিত সিংকে প্রার্থী করায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ফুঁসছেন কল্যাণী দেবী।

এখন এই প্রেক্ষিতে ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি কল্যাণী দাশগুপ্তে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অসম্ভব কিছু নয়। তাছাড়া তাঁর বিজেপির প্রার্থী হয়েও ভোটে দাঁড়িয়ে যাওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।যদিও এই নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।

তবে বিজেপি সূত্রের দাবী,১১৭ নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসাবে টিকিট পাওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছেন দলের কলকাতা দক্ষিণ শহরতলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আজ এ সংক্রান্ত একটি মিটিং রয়েছে বিজেপির। সেখানেই এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানার জন্যে কল্যাণী দাশগুপ্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেন৷ বলেন,’আমি এবং আমার প্রয়াত স্বামী দলের জন্য গোটা জীবন উজার করে দিয়েছি। বর্তমানে আমি দলের ওয়ার্ড সভপতি। তারপরও আমাকে টিকিট দেওয়া হল না।’ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের নীতি-আদর্শের ঠিক নেই বর্তমানে। রাজনৈতিক স্বার্থের থেকে ব্যক্তিস্বার্থ বড় হয়ে গিয়েছে তাঁদের কাছে। নাম না করেই তারক সিং-কে কটাক্ষ করে বললেন, যাঁদের কাছে টাকা রয়েছে,তাঁরাই ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট পাচ্ছে।

প্রসঙ্গত,তারক সিং-এর কন্যা বর্তমানে কোলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর। এরপর আসন্ন উপনির্বাচনে তাঁর ছেলে জিতলে পরিবারের তিনজনই ক্ষমতার শীর্ষে বিচরণ করবনে। এই প্রসঙ্গে কল্যাণী দেবী জানান,মুখ্যমন্ত্রী সবসময় পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। কার্যক্ষেত্রে তিনি সেটাই সমর্থন করেন। নেত্রীর এই দ্বিচারী আচরণে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কল্যাণী দেবী।

এরপর তাকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, বিজেপির তরফ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বললেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। সবদিক বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষপাতী তিনি, এটাও স্পষ্ট বলে দিলেন। আর বিজেপি টিকিটে ভোটে দাঁড়াবেন কিনা সে প্রসঙ্গে কল্যাণী দাশগুপ্তের উওর-‘সেটা ভবিষ্যৎ বলবে।’

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কল্যাণী দেবীর জবাবের প্রেক্ষিতে তারক সিং জানান,কে কোন দলে দাঁড়াবে সেটা সম্পূর্ণই তাঁর সিদ্ধান্ত । আর তিনি যে টাকা পয়সা দিলে ভোটের টিকিট পাননি সেটাও স্পষ্ট জানিয়েদিলেন এদিন। কল্যাণী দেবী যে পরিবারতন্ত্রের অস্ত্রে তারক বাবুকে ঘায়েল করতে চেয়েছিলেন,সে প্রসঙ্গে তাঁর জবাব,’রাজার ছেলে রাজা হবে, রাজনীতিবিদের ছেলে রাজনীতি করবে, এতে সমস্যা কোথায়। আমার ছেলের এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, ভোটে জিতে সেটা প্রমাণ করে দেবে।’

এরপর মজার ছলে তিনি আরও বলেন, যদি কল্যাণী দেবী বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান তাহলে সবথেকে বেশি খুশি হবেন উনি। এ প্রসঙ্গে কল্যাণী দেবীর প্রতি আগাম শুভেচ্ছা জানান তিনি। উল্লেখ্য,আজ অমিত সিং-এর ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র পেশ করার কথা রয়েছে।

আগামী ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ কোলকাতা পুরসভার এই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন রয়েছে। ফলপ্রকাশ হবে ১৯ ডিসেম্বর। তবে এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অভ্যন্তরের যে বিক্ষোভ প্রকাশ্যে এল তা একরকম সাংগঠনিক দূর্বলতাকেই স্পষ্ট করে। এটাকে লোকসভা ভোটের আগে শাসকদলের বাড়তি চাপ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!