এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরাও গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়ে ঘুরছেন! তীব্র বিতর্ক শাসকদলের নেতাদের ঘিরে

জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরাও গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়ে ঘুরছেন! তীব্র বিতর্ক শাসকদলের নেতাদের ঘিরে


এবার সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৃণমূল পরিচালিত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের একাংশ কর্মাধ্যক্ষদের বিরুদ্ধে নিজের গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ানোর অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। অভিযোগ, বর্তমানে এই মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের শাসকদলের একাধিক কর্মাধ্যক্ষ নিজেদের আত্মীয়-বন্ধু, দলীয় সদস্য এবং ক্লাবের মাতব্বরদের নিয়ে নিজেদের নীল ও লালবাতিওয়ালা গাড়িতে চাপিয়ে এলাকায় দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এমনকি এই নীল ও লালবাতির গাড়ি ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান এবং বিয়েবাড়ি পর্যন্তও যেতে শুরু করেছেন। আর এরমধ্যেই এই ব্যাপারে নাগরিকদের একাংশ জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। আর এরপরেই সারা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে তৈরি হয়েছে প্রবল গুঞ্জন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগে নীল ও লাল বাতির গাড়ি ব্যবহার নিয়ে আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার একটি নির্দেশনামা জারি করে। যেখানে দেখা যায়, রাজ্যের মন্ত্রী, রাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলা জজ এই নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই নির্দেশকে অমান্য করে এখন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ নিজেদের মাথায় নীল বাতির আলো জ্বালিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেন তারা এমনটা করছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে এই নীল বাতি ব্যবহারকারী মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ রাজিব হোসেন বলেন, “গাড়িতে নীল বাতি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানা ছিল না। নিয়ম না জেনেই তা লাগিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে তা খুলেও নিয়েছি।”

অন্যদিকে এই নীলবাতি ব্যবহারকারী খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ মাইদুল ইসলাম বলেন, “আমার ভাড়া করা গাড়িতে নীল ও লাল বাতি লাগানো ছিল। সেই গাড়ি ব্যবহার করলে কোনো অসুবিধে হবে না বলেই এক জেলা পরিষদের সদস্য আমাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এটা যে আমি ব্যবহার করতে পারি না তা পুলিশ সুপার আমাকে জানিয়েছিলেন। আর তারপরই আমি সেগুলো খুলে ফেলেছি।”

এদিকে মাথায় আলো জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সরকারি সভাধিপতি বৈদ্যনাথ দাসও। সত্যি কি তিনিও এই ব্যাপারে কোনো বিধি-নিষেধ জানেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বৈদ্যনাথ দাস বলেন, “গতবারও সহকারি সভাধিপতির গাড়িতে নীল ও লাল বাতি ছিল। কজন অতিরিক্ত জেলাশাসকও এরকম গাড়ি ব্যবহার করছেন। তাই আমিও তাই করছি। এই ব্যাপারে জেলা শাসকের সাথে কথা বলব। যদি এটা খুলে ফেলতে হয় তাহলে খুলে ফেলবো।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে এদিন জানান মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল। কিন্তু এই কর্মাধ্যক্ষরা নীল ও লালবাতি ব্যবহার করা সত্ত্বেও কেন প্রশাসন কোনোরূপ বিধি-নিষেধ জারী করছে না?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক তথা জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক পি উলগানাথন বলেন, “নীল ও লাল বাতির ব্যবহার নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা জেলা পরিষদের সদস্যদের জানানো হয়েছে। এবার এই নির্দেশিকা অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সিংহভাগ কর্মাধ্যক্ষ মাথায় নীল বাতি ঘুরিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ালেও এটিকে রোধ করতে ঠিক কবে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!