এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রীর বহিরাগত খোঁচার পাল্টা দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ

শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রীর বহিরাগত খোঁচার পাল্টা দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমানে বাংলাকে পাখির চোখ করে নানা সাংগঠনিক কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ভিন রাজ্যের পাঁচ বিজেপি নেতাকে বাংলার জয় আনতে এরাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি বাংলা বিদ্বেষী দল হিসেবে পরিচিত। বাংলার ক্ষমতা দখল করতে তারা বাইরের নেতাদের উপর ভরসা রাখতে শুরু করেছে। যাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আক্রমণ করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে তৃনমূল যখন বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ব্যাস্ত, তখন পাল্টা শাসকদলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা গেছে, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে তিনি আবার রাজ্যে আসতে পারেন। যার জেরে বাংলায় বহিরাগতদের দাপাদাপি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস। এদিন এই ব্যাপারে তৃনমূলকে পাল্টা আক্রমণ করেছে দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গারা এলে অনুপ্রবেশকারী নয়। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় এলে বহিরাগত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থ্যাৎ তৃনমূলের বক্তব্যকে কার্যত নস্যাৎ করে পাল্টা তাদের বক্তব্যকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন দিলীপ ঘোষ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বিশ্লেষকদের মতে, লাগাতারভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে শীর্ষ নেতারা এখন বাংলার দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। প্রায়শই বিজেপি নেতারা বাংলায় আসছেন। যার জেরে চাপে পড়ছে তৃনমূল। আর তারপরেই বিজেপি নেতাদের বাংলায় আনাগোনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃনমূল কংগ্রেস‌। কিন্তু এবার তারই জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। আর এর ফলে তৃনমূল অনেকটাই চাপে পড়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

 

জানা গেছে, এদিন তৃনমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “বাংলায় বহিরাগতরা অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। রুখে দাঁড়াতে হবে।” আর এরপরই রোহিঙ্গারা আসলে আপত্তি নেই, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসলে এত আপত্তি কেন! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে লড়াই ক্রমশ জমে উঠেছে। আর তার আগে বিজেপি নেতাদের বঙ্গ সফর নিয়ে তৃনমূলের আপত্তি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের জবাব রাজনৈতিক উত্তেজনাকে ক্রমশ বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!