এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাজ না করে শাসকদলের মঞ্চে উপস্থিত থেকে বিতর্ক বাড়ালেন সরকারি চিকিৎসকরা

কাজ না করে শাসকদলের মঞ্চে উপস্থিত থেকে বিতর্ক বাড়ালেন সরকারি চিকিৎসকরা

অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি । হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় এদিন দুপুরে একাধিক চিকিৎসককে পাওয়া গেলো শিয়ালদহ স্টেশনের পাশে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ক্যাম্পে। একজন দুজন নয় বেশ কয়কেজন চিকিৎসক এদিন শাসক দলের সংশ্লিষ্ট মঞ্চে উপস্থিত হয়ে মনের আনন্দে বসে বাক্য বিনিময় করছিলেন। যখন কি না তাঁদের মঞ্চের পার্শ্ববর্তী নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিজেদের বিভাগে ডিউটী করার কথা। জানা যাচ্ছে গত বুধবার থেকেই দফায় দফায় চিকিৎসকেরা ঐ মঞ্চে যাচ্ছেন যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই ঘটনা প্রসঙ্গে শাসকদল প্রভাবিত ‘প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনে’র (পিডিএ) এন আর এস শাখার এক নেতা এদিন বললেন, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বলেছেন সাধারণ মানুষের পরিষেবায় যেন ঘাটতি না হয়। সকল চিকিৎসককে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এভাবে দায়িত্ব পালন! এতে তো মুখ্যমন্ত্রী তথা সরকারের বদনাম হবে।” একই সুরে নিজের বক্তব্য জানালেন এক পিডিএ’র নেতা। এই পিডিএ নেতার ক্ষোভের সুরেই বললেন, ”কেন যে ডিউটিরত অবস্থায় রাজনৈতিক ক্যাম্পে যায় বুঝি না! ঠিক করেনি।” হাসপাতালের ডিউটিরত অবস্থায় কেন সেখানে গিয়েছেন ?এই প্রশ্নের জবাবে সার্জারি প্রধান স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ”একটা উদ্দেশ্য ছিল। তাই ওখানে গিয়েছিলাম।”

অন্যসকল চিকিৎসকদের সাথে এন আর এসে’র ব্লাড ব্যাঙ্কের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ঈষিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ও ঐ মঞ্চে পাওয়া গেলও । অভিযোগ, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ নিজের বিভাগে হাজিরার জন্য আঙুলের ছাপ দেন ঈষিতা। তারপরেই হাসপাতালের সব কাজ ফেলে রেখে শাসক দলের ঐ মঞ্চে চলে যান। এদিকে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, একটি ব্লাড ক্যাম্প নিয়ে সমস্যা তৈরী হওয়ায় খোঁজ পড়ে ঈষিতা দেবীর। কিন্তু তাঁকে বিভাগে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে এদিন তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

অন্যদিকে হাসপাতাল সুপার সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ”আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখব। আমি অন্য কাজে বাইরে ছিলাম। কিছু বলতে পারব না।” তবে গোটা বিষয় সম্পর্কে জানতে পিডিএ’র রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক নির্মল মাজি’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে ঐ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাক্ষীগোপাল সাহা বললেন, ”চিকিৎসকদের একটা ক্যাম্প করেছি। আমি দায়িত্বে আছি। কেউ ডিউটি ছেড়ে এলে তার দায়িত্ব আমি নেব না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!