এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শাসকদলে,গুলবিদ্ধ হলেন এক যুব তৃণমূল কর্মী

ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শাসকদলে,গুলবিদ্ধ হলেন এক যুব তৃণমূল কর্মী

তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলে কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। আর বেশিরভাগ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই হচ্ছে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে। বঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একই ধরণের খবর বারবার নজরে আসছে রাজ্যবাসীর। সামনেই লোকসভা ভোট। প্রস্তুতি পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নিদান ছিল,গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূলের নাম জড়ালেই অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে তাকে। নেত্রীর আদেশ মেনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়,অনুব্রত মন্ডল,ফিরহাদ হাকিমেরা দফায় দফায় দলীয় কর্মীদের সেই বার্তাই দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের হেভিওয়েটদের নির্দেশকে পাত্তা না দিয়েই দল যেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খেলায় মেতেছে! এদিন হুগলীর পুরশুড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন যুব তৃণমূল কর্মী। অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের পুরানো গোষ্ঠীর দিকে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা।

পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে শাসক বনাম বিরোধীদের লড়াই এর পাশাপাশি শাসক বনাম শাসক গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বও একইভাবে বাংলার রাজনৈতিক আবহকে উত্তপ্ত করেছে। তারই প্রমাণ হুগলীর পুরশুড়ার ঘটনা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের আদিদের সঙ্গে যুবদের ব্যাপক ঝামেলা বাঁধে। এবং দু পক্ষের কথা কাটাকাটির পর পরিস্থিতি এতোটাই উত্তপ্ত হয়ে যায় যে মাদার তৃণমূলের শেখ আবু ও তাঁর অনুগামীরা দলের যুবনেতা শেখ রসিদকে তাক করে গুলিও চালান। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে প্রাণ বেঁচে যায় যুবনেতার। তবে সেই গুলি গিয়ে লাগে আরেক যুব কর্মী শেখ মঞ্জুর আলির পায়ে। এরপরই অশান্তি আরো প্রবল হয়। তুলুম শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। দুপক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। ব্যাপক বোমাবাজি শুরু করে তারা। খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তাদের সক্রিয়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনো থমথমে হয়ে আছে এলাকা। পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ঘটনাস্থলে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে যুবনেতা মঞ্জুর আলি জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন আরামবাগ মহাকুমা হাসপাতালে। তিনি দিঘরুইঘট এলাকায় একটি হারমোনিয়াম সারাই-এর দোকানে কাজ করেন। ঘটনার রাতে দোকান থেকে ফেরার পথেই দুষ্কৃতিদের হামলার শিকার হন তিনি। তারা দুটি গুলি চালিয়েছিল। একটি পায়ে লাগে মঞ্জুর আলির। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এই প্রেক্ষিতে এখনো তৃণমূলের রাজ্যনেতৃত্বদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে জেলার নেতারা যে এরজন্য কঠিন শাস্তির মুখে পড়বেন এর জেরে,সেটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। অন্যদিকে,প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই আপাতত তৃণমূলের বিরুদ্ধে সক্রিয় অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!