এবার শাসকদলের হেভিওয়েট বিধায়ককেই হুমকি চিঠি, জোর সোরগোল রাজ্যে উত্তরবঙ্গ রাজ্য June 13, 2019 লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি এবং বিজেপির উত্থানের পরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজনৈতিক হিংসার খবর আসতে থাকে। যে ঘটনা নিয়ে বর্তমানে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার কোচবিহারের জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধানের বাড়িতে একটি হুমকি চিঠি আসায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রের খবর, বুধবার সকালে মেখলিগঞ্জের এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে একটি চিঠি এসে পৌঁছয়। যেখানে লেখা থাকতে দেখা যায়, “খুব গোপনীয় খবর, আপনি খুব সাবধানে থাকবেন। আর কোনোক্রমে মেখলিগঞ্জে যাবেন না। মিটিং, মিছিলে যাবেন না, ঘটনা ঘটবে।” আর শাসকদলের এই হেভিওয়েট বিধায়কের কাছে হুমকি চিঠি আসায় এখন তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত, এই কোচবিহার জেলায় দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্বে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সম্প্রতি সরিয়ে এখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে। পাশাপাশি কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে সেই রবি ঘোষেরই অন্যতম বিরোধী গোষ্ঠির নেতা বলে পরিচিত পার্থপ্রতিম রায়কে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন সমস্ত ব্লক কমিটিকে ভেঙে দিয়ে নির্দিষ্ট বিধানসভার দায়িত্বে সেখানকার বিধায়কদের হাতে তুলে দেন। যেখানে মেখলিগঞ্জ বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয় সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধানকে। আর দায়িত্ব পাওয়ার পরই গত মঙ্গলবার তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এই বিধায়ক। তারপরই বুধবার তার বাড়িতে এইরুপ হুমকি চিঠি আসায় এর পেছনে দলেরই কেউ জড়িত, নাকি বিরোধীদের ষড়যন্ত্র তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এদিন এই প্রসঙ্গে অর্ঘ্য রায় প্রধান বলেন, “নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছে। যখন সংগঠনকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছি, তখন ভয়ে পেয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আমাকে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছে।” তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে অবশ্য অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, এটা আসলে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলেরই ফসল। তাই এখন নিজেদের কোন্দল থেকে রক্ষা পেতে বিজেপির নামে দোষ চাপানো হচ্ছে। তবে এই বিধায়ককে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তা। আপনার মতামত জানান -