এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শাসকদলের সাংসদ ও কাউন্সিলরের অনুগামীদের গোষ্টীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বাগুইহাটি

শাসকদলের সাংসদ ও কাউন্সিলরের অনুগামীদের গোষ্টীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বাগুইহাটি

উৎসবের রেশ কাটল ঠিকই। কিন্তু শাসকদলের দলীয় কোন্দল কাটল না কিছুতেই। এবার তৃনমূল সাংসদ বনাম কাউন্সিলর অনুগামী দুই গোষ্টীর বিবাদে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল বাগুইহাটি এলাকার জগৎপুর চড়কতলা শিবমন্দির এলাকায়। জানা গেছে, ঘড়ির কাটায় তখন পৌনে বারোটা। বিজয়া দশমীর রাতে যখন বিদায়ের সুর সর্বত্র, ঠিক তখনই বাইকে চেপে কজন বহিরাগত দুস্কৃতী স্থানীয় মলয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যাক্তির বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরে ঢুকে সেই মলয়বাবুকে খোঁজার চেষ্টা করলে তাকে না পেয়ে আলমারি এবং সমস্ত আসবাবপত্র ভাঙচুর করে সেই দুস্কৃতীরা।

তবে বাড়ি থেকে বেরোতেই রাস্তায় সেই মলয় চক্রবর্তীকে দেখতে পেয়ে তাকে মারধর করতে শুরু করে সেই দুস্কৃতীদলের সদস্যরা। আর নিজের বাবাকে বাচাতে এলে মারের মুখে পড়তে হয় সেই মলয় চক্রবর্তীর ছেলে ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তীকেও। এমনকী সেই সময় রাস্তা দিয়ে ডিউটিতে যাওয়া এক সিভিক ভলান্টিয়ার সেই গন্ডগোল আটকাতে মারের মুখে পড়তে হয় তাকেও।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

পাশাপাশি এই ঘটনায় আহত স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্ব কুন্ডু এবং পীযুশ দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এইখানেই শেষ নয়, পৌনে বারো টার পর ফের রাত দেড়টা নাগাদ তৃনমূলেরই এক দাপুটে নেত্রীর উপস্থিতিতে 30 টি বাইকে 70 জন দুস্কৃতী এসে সেই মলয় চক্রবর্তীরই আরেকটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ, এইখানে সেই দুস্কৃতীদল দরজার কাচ ভাঙচুর এবং বাড়ির সামনে রাখা বাইকগুলিতে ব্যাপক আঘাত করে। কিন্তু দশমীর রাতে এহেন বিশৃঙ্খলা এবং দুস্কৃতী দৌরাত্মের পরও এখনও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। দুটি পাড়ার মধ্যে গন্ডগোল বলে পুলিশ দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও কেন সেই গন্ডগোলে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হল না তা নিয়ে জনমানসে তৈরি হয়েছে এক বড় মাপের প্রশ্নচিহ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!