এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিরোধীদের হয়ে ‘বকলমে’ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে শাসকদলই? সামনে এল নতুন তথ্য

বিরোধীদের হয়ে ‘বকলমে’ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে শাসকদলই? সামনে এল নতুন তথ্য

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন পূর্ব নির্ধারিত তারিখে হলে হাতে রয়েছে মাত্র কয়েকটাদিন। এই সময়ে জানা গেলো নির্বাচনে যত গুলি আসন রয়েছে তাঁর বেশিরভাগটাতেই শাসকদলের বিপরীতে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে রয়েছে বাম দলগুলি , কংগ্রেস অথবা বিজেপি। সরকারীভাবে দেখতে গেলে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে চতুৰ্মুখী। কিন্তু এই কথা মানতে নারাজ বিরোধী শিবির। তাদের যুক্তি তাদের মনোনীত প্রার্থীদের শাসকদল সন্ত্রাস করে তাদেরকে মনোনয়নি দিতে দেয়নি। আর যারাও বা দিয়েছেন তাদেরকেও প্রার্থীদপদ প্রত্যাহার করানো হচ্ছে ভয় দেখিয়ে। আর যাদের সংখ্যা দেখানো হচ্ছে তাদেরকে বিরোধী প্রার্থী সাজিয়ে তৃণমূল মনোনয়ন জমা দেওয়া করিয়েছে .যখন স্ক্ৰুটিনই হবে তখনি সব মনোনয়ন বাতিল করে দেবে। এটাই সরকারের চাল। প্রশাসনিক তথ্যের কোনো বাস্তবের কোনো মিল নেই। কারণ ঠিক মতো দেখতে গেলে শাসকদলই বকলমে তাঁদের প্রার্থী মনোনীত করেছে। যদিও এই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস জানাচ্ছে যে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই দায় এড়াতে একের পর এক মিথ্যা রটাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। বিরোধী দলগুলির জমা পড়া মনোনয়ন পত্রের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে গেরুয়া শিবির। যে সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে তার মধ্যে তিনস্তরে তাদের প্রার্থীর সংখ্যা কমবেশি ৭০ শতাংশ। আর এরপরেই রয়েছে বাম শরিক দল সিপিএম। যদিও বিজেপির দাবি, সিপিএম তথা বামেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেখে বিরোধী ভোট ভাগের সুযোগ নিতে চেয়েছে শাসকদল।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

আর বামফ্রন্টের দাবি দলের হিসাবের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তথ্যে বহু ক্ষেত্রেই বিস্তর ফাঁক- ফোকর রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে ঠিক কী রকম ফাঁক-ফোকর দেখছে বাম শিবির? এই প্রশ্নের জবাবে প্রবীণ বাম নেতা বিমান বসু বললেন, ”অনেক জায়গায় আমাদের প্রার্থীর কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বামফ্রন্টের নাম করে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে সিপিএম নেতা রবীন দেব নিজের মতামত জানিয়ে বললেন, ”জেতা পঞ্চায়েত, সমিতির আসনে মনোনয়ন আটকে দিয়েছে তৃণমূল। অন্তত ৫০ হাজার প্রার্থী দিতে পারতাম। বিজেপিকে জায়গা দিতে পরিকল্পনামাফিক এ সব হয়েছে।” জানা গেছে তিনস্তর মিলিয়ে বামেরা প্রার্থী ২৩ হাজার প্রার্থী দিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে বর্তমানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে এইরকম প্রার্থী সংখ্যা সাড়ে ৩৮ হাজারের মতো। আবার বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য অন্য ফাঁক- ফোকরের কথা উল্লেখ করে বললেন , ”অনেক জায়গায় বামেদের দিয়ে মনোনয়ন দেওয়ানো হয়েছে। বিরোধী ভোট ভাগের সুযোগ নিতে এই কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। তবে এই প্রার্থী সংখ্যার সঙ্গে জনমতের কোনও সাজুয্য থাকবে না।” অন্যদিকে মনোনয়নপত্র জমা পড়ার সব থেকে পিছনের সারিতে রয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। তাদের প্রার্থী রয়েছে সাড়ে আট হাজারের মতো। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি অনুসারে, “মুর্শিদাবাদের মতো দলের শক্তঘাঁটিতেই তৃণমূল মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। ফলে এই হিসাবে দলের সাংগঠনিক শক্তি প্রতিফলিত হয়নি।শেষমুহুর্তে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেসের আরও অনেককেই ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করবে তৃণমূল।” বিরোধী দল গুলির নেতাদের প্রতিক্রিয়া শোনার পরে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, ”আগে বলা হল তৃণমূল বাধা দিয়েছে। এখন বলা হচ্ছে বিরোধী ভোট ভাগের সুবিধার কথা।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!