এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শাসকের হাত থেকে কঠিন হচ্ছে জয়ী প্রার্থীদের ধরে রাখা, ‘বিশেষ পরিকল্পনায়’ গেরুয়া শিবির

শাসকের হাত থেকে কঠিন হচ্ছে জয়ী প্রার্থীদের ধরে রাখা, ‘বিশেষ পরিকল্পনায়’ গেরুয়া শিবির


সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে রাজ্যের মালদহ জেলায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করার কাজে সক্রিয় হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। দলের বিজয়ী প্রার্থীরা যাতে বেহাত না হয়ে যায় সেই আশঙ্কায় সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের তারা ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।  দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ী পঞ্চায়েত স্তরের সদস্যদের দু’মাসের জন্য ঝাড়খণ্ডে পাঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মালদহ শহরের দলীয় কার্যালয়ে দলের শতাধিক পঞ্চায়েত সদস্যকে রাখা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি সুব্রত কুণ্ডু বললেন, “নির্বাচন পর্বে তো বটেই ফল ঘোষণার পরে আরও বেশি করে আমাদের জয়ী প্রতিনিধিদের উপরে হামলা হচ্ছে। তাঁদের জীবন সংশয় তৈরি হয়েছে। তাই নিরাপত্তার কারণে দলের জয়ী সদস্যদের সপরিবারে ঝাড়খণ্ডে চলে যেতে হচ্ছে। তবে ওই সদস্যরা নিজেরাই তাঁদের আত্মীয়দের বাড়ি যাচ্ছেন। প্রথমে অগণতান্ত্রিকভাবে ভোট দখল এবং এবার বিরোধীদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দিতে শাসকদল চেষ্টা করছে।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

  বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায় নিজের মতামত জানিয়ে বললেন, “শাসকদলের হামলার হাত থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই ভোটে জয়ী আমাদের ২০০টি পরিবার জেলা অফিসে আশ্রয় নিয়েছে। ওই সদস্যদের নিরাপদে রাখাটাই এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বোর্ড গড়া না হওয়া পর্যন্ত জয়ী সদস্যদের নিরাপদে রাখতেই ভিনরাজ্যে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বললেন, “বিজেপি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। ভোটে যদি হিংসাই হয়ে থাকে তবে বিজেপি জিতল কী করে? দলীয় সদস্যদের উপর ওদের নেতৃত্বের ভরসা নেই। সেকারণেই হয়তো তাঁদের সরিয়ে রাখা হচ্ছে।” উল্লেখ্য এই জেলার ২২৮১টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৫৩১টিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি। শুধু তাই নয় বিজেপি ২১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ার সুযোগ পেয়েছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষনের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে  মালদহে বহু আসন জিতে গেলেও সাংগঠনিকভাবে বিজেপি শক্তিশালী নয়। এই পরিস্থিতিতে দলের বিজয়ী সদস্যদের কে ধরে রাখা মুশকিলের। এদিকে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের জন্যে দু মাস সময়ে এখনও বাকি আছে। মধ্যবর্তী এই সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস দল নেতৃত্ব বিজেপি দলের জয়ী কর্মীদের প্রলোভন দেখিয়ে শাসক দলের অন্তর্ভূক্ত করতে পারে এই আশঙ্কায় প্রাথমিক পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ে রাখা জয়ী সদস্যদের সপরিবারে ঝাড়খন্ডে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। উল্লেখ্য ঝাড়খণ্ড বর্তমানে বিজেপি নিয়ন্ত্রণআধীন থাকায় পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির রাজ্য স্তরের দলীয় নেতৃত্ব সেখানেই নতুন শিবির করছে ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!