শাসকদলে যুব শাখাই কি এখন শেষকথা? যুবনেতার কাছে বিধায়ক ঘনিষ্ট হেভিওয়েটের হার ঘিরে জল্পনা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য September 14, 2018 তৃনমূল নাকি যুব তৃনমূল কার হাতে থাকবে কতৃত্বভার- এই নিয়েই রাজ্যের পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে চলছে তুমুল শোরগোল। একই দলের দুই সংগঠনের এহেন লড়াইয়ে হতবাক রাজনৈতিক মহলও। নেত্রীর হুশিয়ারির পরেও বিরোধী বিজেপিকে কুপোকাত না করে জেলায় জেলায় বোর্ডে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে দলের সাথে দলের কর্মীদের লড়াই যেন বেমানান এই বঙ্গ রাজনীতিতে। আর এবারে সেই বেমানান দৃশ্যেরই সাক্ষী হয়ে থাকল ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত। সূত্রের খবর, 23 আসনবিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে এই পঞ্চায়েতে এবার তৃনমূল 14, বাম এবং বিজেপি দুটি, এবং নির্দলেরা 7 টি আসন পায়। বোর্ড গঠনে এখানে তৃনমূল এগিয়ে থাকলেও দলের ভেতরেই প্রধান কে হবে তা নিয়ে চলে প্রবল গোষ্টীদ্বন্দ্ব। এদিকে এই দ্বন্দ্ব মেটাতে গত রবিবার সাংসদ প্রতিমা মন্ডল বাসন্তীতে একটি বৈঠক করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দল থেকে একজনকে প্রধান হিসাবে ঠিক করা হলেও বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের সময় ভাগ হয়ে তৃনমূল এবং তৃনমূল যুব এই দুই শিবির । জানা গেছে, তৃনমূলের বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের অনুগামী আফতাব শেখ প্রধান পদে দাড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে সেই প্রধান পদে প্রার্থী হিসাবে দাড়ান তৃনমূল যুবর ইউসুফ আনসারি। তাতে মূল সংগঠনের আফতাব শেখ সাতটি ভোট পেলে যুবর ইউসুফ আনসারি তৃনমূলের 7, নির্দলের সাত এবং আরএসপির 1 টি ভোট পেয়ে প্রধান রুপে নির্বাচিত হন। আর এতেই তৃনমূল থেকে তৃনমূল যুবর শক্তি বেশি বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে এই বোর্ড গঠনে এদিন বোমাবাজি হয়েছে বলে যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মূল সংগঠনের সদস্যরা। কেন দলের ভেতরেই এই গোষ্টীদ্বন্দ্ব? এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে তৃনমূল সাংসদ প্রতিমা মন্ডল বলেন, “কোনোও মতবিরোধ হয়নি। দলের ঠিক করা ব্যাক্তিকেই প্রধান করা হয়েছে। আর বোমাবাজির ঘটনা ভিত্তিহীন।” কিন্তু সাংসদ গোষ্টীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করলেও আমঝাড়া পঞ্চায়েতে সেই তৃনমূল যুবর সদস্যদের বিরুদ্ধে মূল সংগঠনের সদস্যদের ভয় দেখানোর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়।এখানেও লড়াই সেই প্রধান পদ নিয়েই। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রধান পদে তৃনমূল বনাম তৃনমূলের লড়াইয়ে আদতে লাভ হচ্ছে বিজেপিরই। তাই এখন থেকেই দলীয় স্তরে যুব এবং মূল সংগঠনের এই বিভাজন যদি শক্ত হাতে না রুখতে পারে দল তবে অচিরেই বড় সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে তোপসিয়ার তৃনমূল ভবনকে। আপনার মতামত জানান -