এবার ঘুরপথে প্রশাসক অশোকের ঘুম ওড়াতে চলেছে শাসকদল? নতুন পরিকল্পনা ঘিরে বাড়ছে জল্পনা উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য May 27, 2020 বিরোধী হলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্পত্তি মেয়াদোত্তীর্ণ শিলিগুড়ি পৌরসভায় প্রশাসক করা হয়েছে বামফ্রন্টের বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। আর অশোক ভট্টাচার্য প্রশাসক হওয়ার পর সেভাবে তৃণমূলকে গুরুত্ব না দেওয়ায়, কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে শাসক দল। তবে এবার সেই অশোক ভট্টাচার্য এবং বামফ্রন্টকে চাপে রাখতে পাল্টা কৌশল তৈরি করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। বস্তুত, সম্প্রতি শিলিগুড়ি পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের চারদিনের মধ্যেই এসজেডিএ পরিচালন বোর্ডের পুনর্গঠন করে রাজ্য সরকার। যেখানে 17 জনের পরিবর্তে এবার 21 জনকে সেই বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের 6 জন কাউন্সিলর। রঞ্জন সরকার সহ সেই বোর্ডে থাকা আরও পাঁচজন শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে এই এসজেডিএ বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে শিলিগুড়ি পৌরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর নান্টু পালকে। আর দায়িত্ব পেয়েই এবার শিলিগুড়ি পৌরসভায় অশোক ভট্টাচার্যকে চাপে ফেলতে উদ্যোগী এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা। জানা গেছে, এসজেডিএর তরফ থেকে এবার শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্যকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন শিলিগুড়ি শহর বামফ্রন্টের দখলে থাকলেও, কেন উন্নয়ন হয়নি, তা নিয়ে এসজেডিএর তরফে জানতে চাওয়া হবে। আর এর ফলেই বামফ্রন্টকে চাপে ফেলার প্রক্রিয়া আরও জোরদার করবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এসজেডিএর ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল বলেন, “উত্তর পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ি। কাছেই ভুটান সীমান্ত। রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতার পরেই এই শহরের গুরুত্ব। এতদিন ক্ষমতা ধরে রাখলেও পরিকল্পিতভাবে শহরের কোনো উন্নয়ন করেনি বামফ্রন্ট। যার ফলে পর্যটনে এই শহরের যানজট মারাত্মক আকার নিয়েছে। এবারে এসজেডিএ বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। শীঘ্রই বোর্ডের বৈঠক করে উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।” তবে এসজেডিএ বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের এই গুরুত্বকে মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বামফ্রন্ট। এদিন এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য আরএসপির রামভজন মাহাতো বলেন, “এই শহরের উন্নয়নের কৃতিত্ব বামফ্রন্ট ছাড়া কারোর নেই। এখানে উড়ালপুল, স্টেডিয়াম, শিল্পতালুক সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। 2011 সালের পর থেকে বহুবার এই শহরকে পৌরসভার মাধ্যমে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করেছে। এবারেও হয়ত সেটাই করবে। তবে তাতে ঘাসফুল বাহিনীর এমন কোনো অসুবিধা হবে না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অশোক ভট্টাচার্য বিরোধী নেতা হলেও, তাকে পৌরসভার প্রশাসক করার পর তৃণমূল হয়ত ভেবেছিল যে, তারা কিছুটা হলেও গুরুত্ব পাবে। কিন্তু প্রশাসক পদে বসার পর সেভাবে তৃণমূলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না অশোক ভট্টাচার্য। আর তাই সেই অশোকবাবুকে চাপে রাখতেই এসজেডিএ বোর্ডে তৃণমূলের শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরদের ক্ষমতা দিয়ে শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক এবং বামফ্রন্টকে চাপে রাখার কৌশল নিল তৃনমূল কংগ্রেস বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -