এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > শাসকদলে সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্থানে কে – শুরু তীব্র জল্পনা

শাসকদলে সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্থানে কে – শুরু তীব্র জল্পনা


নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পর জেলায় তাঁর বিকল্প মুখ কে হবেন তা নিয়েই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের। কারণ সত্যজিৎ বাবুই নদীয়ায় তৃণমূল সংগঠনকে যেমন ধরে রেখেছিলেন সেরকমই মতুয়া ভোটব্যাঙ্কও তাঁর দখলে ছিল। এই প্রেক্ষিতে লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের এরকম একজন দক্ষ সংগঠকের মৃত্যুতে জেলা তৃণমূল সংগঠনে ধ্বস নামতে পারে বলেই আশঙ্কা রয়েছে শাসকদলের উপরমহলের।

আর এই সুযোগ নেওয়া শুরুও করে দিয়েছে বিজেপি। দফায় দফায় জেলায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের দিয়ে সভা করিয়ে একদিকে যেমন মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চাইছে দিলীপ ঘোষ-শান্তনু ঠাকুরেরা,সেরকমই বিজেপির সংগঠনও পোক্ত করতে চাইছে তাঁরা,এমনটাই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হন। তারপর থেকেই যুব সভাপতির পদটি খালি পড়ে রয়েছে। এদিকে লোকসভা ভোটের আর বেশিদিন বাকি নেই। এই অবস্থায় জেলার যুব সংগঠনের দায়িত্বভার কার হাতে ন্যস্ত করা হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে শাসক শিবিরে।

তালিকায় একাধিক নাম উঠে আসলেও এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি কারো নাম। তবে দল চাইছে এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক যিনি সত্যজিৎ বাবুর মতোই যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে পারবে।

নদীয়ার জেলা যুব সভাপতি হওয়ার দৌড়ে প্রথমেই এগিয়ে রয়েছেন ছাত্র নেতা অয়ন দত্ত। গত কয়েক মাস আগে তাঁকে টিএমসিপির জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে নিয়ে আসা হয়েছে কল্যাণীর ছাত্র নেতা সৌরিক মুখোপাধ্যায়কে। অয়ন অবশ্য নিজেই ওই পদ থেকে সরে যেতে চাইছিলেন। তবে তিনি যতোদিন ওই পদে ছিলেন ততোদিন জেলার প্রতিটি কলেজের ছাত্র সংসদ তৃণমূলের আওতায় ছিল।

ফলত ছাত্র বা যুব সংগঠনকে মজবুত করতে তিনি যথেষ্ট দক্ষ বলেই মনে করা হচ্ছে। অয়ন তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের ছেলে। কাজেই তাঁর রাজনৈতিক জীবনে চলার পথে বাবাই পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করেন,যা একটি বাড়তি সুবিধা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেলা যুব সভাপতি হওয়ার তালিকায় সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থানটিতে রয়েছেন ফুলিয়ার শুভঙ্কর ওরফে পিটার মুখোপাধ্যায়।

একসময় তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জেলায় যুবা সংগঠকদের ভূমিকায় থাকলেও বর্তমানে জেলা যুব কমিটির কার্যকরী সভাপতি। তাঁর স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায় প্রথমবার জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি জেলা পরিষদের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ। সত্যজিতের অবর্তমানে পিটারকেই যুবর মিটিং-মিছিল ডাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে,চাকদহের এক যুবনেতাও সভাপতি হওয়ার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে। এই পদের দায়িত্বে আসতে চাইছে এক সংসদ সদস্যও। তবে জেলা রাজনৈতিকমহলে তাঁর সেরকম ভালো রেকর্ড না থাকায় তিনি অবশ্য জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি হওয়ার দৌড়ে কিছুটা পিছিয়েই রয়েছেন।

তৃণমূল সূত্রের খবর,লোকসভা ভোটের আগে একজন দক্ষ সংগঠককেই জেলা যুব সভাপতির পদে আনতে চাইছে রাজ্য নেতৃত্ব। কারণ লোকসভা ভোট পরিচালনায় এই জেলা যুব সভাপতির ভূমিকায় বেশি থাকে। সে প্রচার মূলক কর্মসূচি হোক বা মিটিং মিছিল সব ব্যাপারেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যুব সভাপতিরা।

তাছাড়া লোকসভা ভোটে আবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। কাজেই রাজ্য সরকারের দাপট কম থাকবে তা বলাবাহুল্য। তাই রাজ্যের শাসকদলকে সবদিক থেকেই এবার সতর্ক থাকতে হবে। এ প্রসঙ্গে,তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরশঙ্কর দত্ত জানান,’দলের যুব সভাপতি হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য নেতৃত্ব থেকেই ঘোষণা হবে।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!