এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজোর মধ্যেই ধর্না নাটকের শাসক দলকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললেন দলীয় বিধায়ক-কাউন্সিলর!

পুজোর মধ্যেই ধর্না নাটকের শাসক দলকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললেন দলীয় বিধায়ক-কাউন্সিলর!

এমনি সময় প্রায় বিভিন্ন জায়গাতেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু পুজোর সময় যেখানে সৌজন্যের বাতাবরণের মধ্যে দিয়ে শারদ উৎসব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী, সেখানে তা না করে ফের শাসকদলের কোন্দলের ছাপ পড়ল সেই দুর্গাপুজোতেও। মহা ষষ্ঠীর দিনে মায়ের বোধনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাটোয়া এলাকা।

জানা যায়, কাটোয়ার 4 নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক কল্যান সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি বর্তমানে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। এতদিন এই পুজো কমিটির সম্পাদক ছিলেন সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামল ঠাকুর। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এই কাটোয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পরে সেখান থেকে অমল রায়কে সরিয়ে দেওয়া হলে শ্যামল ঠাকুরের প্রভাব-প্রতিপত্তি কমতে শুরু করে। যার পরে এই ক্লাবের সম্পাদক পদেও বদলা আসতে দেখা যায়।

কিন্তু অত সহজে তিনি যে জায়গা ছেড়ে দেবেন না, তা এবারের শারদ উৎসবের প্রথম থেকেই প্রমাণ করে দিয়েছিলেন সেই শ্যামল ঠাকুর। পুজোর অনুমতি চেয়ে প্রতিমা তৈরীর কাজ আগেভাগেই শুরু করে দিতে দেখা যায় তাকে। অন্যদিকে শ্যামল বাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীও এই ক্লাবের পূজো যাতে তাদের হাতেই থাকে, তার জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করতে শুরু করেন।

তবে শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে জয় হয় রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার তিনি পুজোর উদ্বোধন করেন। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, শেষপর্যন্ত বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হয়ে পুজোর মাঝেই ধরনা দিতে দেখা যায় সেই 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শ্যামল ঠাকুরকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শ্যামলবাবুর অভিযোগ, পুজোর ক’দিন আগে রাতে তাদের প্রতিমা চুরি করা হয়েছে। আর তাই শুক্রবার সকালে নিজের অনুগামীদের নিয়ে তিনি মন্দিরের সামনে প্রতিমা ফেরতের দাবিতে ধরনা শুরু করেছেন। এদিকে বাংলা ও বাঙালির প্রিয় উৎসবে এইভাবে তৃণমূলের কাউন্সিলারের ধরনায় বসে পড়া দেখে রীতিমতো উদগ্রীব হয়ে ওঠে গোটা তৃণমূল শিবির। ক্লাবের 2 গোষ্ঠী ঘটনাস্থলে একে অপরের বিরুদ্ধে বচসায় জড়িয়ে পড়লে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে উপস্থিত হয় পুলিশ।

তবে বিশ্লেষকদের একাংশ বলেছেন, বুঝতে কারও বাকি নেই শ্যামল ঠাকুর আদতে এই গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কাটোয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যা এই পুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেকটাই প্রকাশ্যে এনে দিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে শ্যামল ঠাকুর বলেন, “অনুমতি পাওয়ার আগেই আমাদের দুর্গা প্রতিমা কেন চুরি করা হল! প্রতিমা চুরিতে অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। আমরা এ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নামব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই পুজোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা কমিটির ব্যাপার। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

তবে যে যাই বলুক না কেন, যেভাবে পুজো দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দুই হেভিওয়েট নেতা তরজায় জড়িয়ে পড়লেন এবং এক কাউন্সিলর এক নেতার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পুজো মণ্ডপের সামনে ধর্নায় সামিল হলেন, তাতে তৃণমূলের সর্বক্ষেত্রেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরম আকার নিয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!