এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোটের আগেই ফলাফল জানতে নয়া পদক্ষেপ শাসকদলের, জেনে নিন!

ভোটের আগেই ফলাফল জানতে নয়া পদক্ষেপ শাসকদলের, জেনে নিন!

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল খারাপ হওয়ার পরই সংগঠনকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেয় শাসক শিবির। বিভিন্ন জায়গায় কখনও প্রশান্ত কিশোরের টিমকে দিয়ে, আবার কখনও বা নিজেদের সংগঠনের ভিত্তিতে খোঁজখবর নিতে শুরু করে তৃণমূল। কোন জায়গায় কাকে প্রার্থী করলে ভালো হয়, তা নিয়ে তৈরি হয় তৎপরতা। ভোটের আগে থেকে কোন জায়গায় তৃণমূলের মাটি দূর্বল, তা দেখে নিয়ে, যাতে সেই জায়গায় দলের জয় নিশ্চিত করা যায়, তার জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা শোনা যায় শাসকদলের গলায়।

আর এবার নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে প্রার্থী বাছাইয়ের আগে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের বর্তমান অবস্থা কেমন, তা জেনে নিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওয়ার্ড ভিত্তিক এই রিপোর্ট তৈরির জন্য বুধবার জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক ছয় সদস্যের একটি স্ক্রীনিং কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। যেখানে চেয়ারম্যান করা হয়েছে, জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে।

অন্যদিকে সদস্য পদে রয়েছেন, পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান আশিস দত্ত, টাউন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, যুব তৃনমূলের সভাপতি বাবলু কর এবং মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী দীপিকা রায়। কিন্তু কি কাজ হবে এই কমিটির! মূলত বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন, তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি কাকে প্রার্থী করলে ভালো হয়, তার ব্যাপারেও নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করে, তা দলের নেতৃত্বের কাছে জমা দিতে হবে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ, তৃণমূলের এই পদ্ধতি দেখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা একপ্রকার নিশ্চিত যে, জয়লাভের জন্য তৃণমূল এখন আগে থেকেই যে সমস্ত জায়গায় তাদের সংগঠন দুর্বল রয়েছে, সেই সমস্ত জায়গা মেরামত করতে এই কমিটির মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “পৌরভোটে প্রার্থী নির্বাচন করা আমাদের দায়িত্ব নয়। জেলা পর্যবেক্ষকের নির্দেশে দ্রুত ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলের কর্মী, সাধারণ নাগরিক, ওয়ার্ড সভাপতি এবং প্রাক্তন কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্যে পাঠানো হবে।” এখন জেলা পর্যবেক্ষকের নির্দেশে আলিপুরদুয়ার পৌরসভা দখলের কমিটি গঠন হলেও, সেই কমিটির কাজ কতটা দৃষ্টিনন্দন হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!