“সব মহিলাকে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা হাতখরচ, স্টুডেন্ট কার্ডে ৪ শতাংশ হারে সুদে ১০ লক্ষ টাকা” – নির্বাচনের পূর্বে কল্পতরু মমতা তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য March 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচন যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত কঠিন লড়াই হতে চলেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই নির্বাচনের পূর্বে জনতা জনার্দনকে সন্তুষ্ট করতে আজ একাধিক ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এগরার জনসভা থেকে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। ভোটের মুখে একেবারে কল্পতরু হতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজ এগরার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল ক্ষমতায় এলে রাজ্যের সমস্ত মহিলাকে মাসে ৫০০ টাকা করে হাত খরচা দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। এছাড়া স্টুডেন্ট কার্ডে ৪ শতাংশ সুদের হারে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। বিনামূল্যে রেশন পেতে আর দোকানে যাবার প্রয়োজন হবে না। ঘরে বসেই পাওয়া যাবে রেশন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, আগামী বছর থেকে রাজ্যের কৃষকদের বছরে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য দেয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য সাথী কার্ডতে ৫ লক্ষ টাকা চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়া হবে। এরপর তিনি জানালেন, আগে যেসব গদ্দার তৃণমূলে ছিল, তারা চাকরি নিয়ে যথেষ্ট বেইমানি করেছে। যা তিনি জানতে পেরেছেন। তাই, এবার চাকরি সম্বন্ধে সমস্ত কাজকর্ম সরাসরি করা হবে, কারো মাধ্যমে তা করা হবে না। এগরার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, দিঘাতে ল্যান্ডিং সেন্টার তৈরি করা হবে। দিঘাতে করা হবে জগন্নাথের মন্দির। তিনি জানালেন, আগে এখানে রাস্তা ছিল না, কিন্তু এখন অনেক রাস্তা করা হয়েছে। আগামী দিনে রাজ্যের ২৫ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে। রাজ্যের মেয়েরা বছরে ৫ লক্ষ টাকার বিমা পাবেন। তিনি জানালেন দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠলেই ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা অর্থসাহায্য দেওয়া হবে। তিনি জানালেন, কৃষকদের খাজনা মুকুব করা হয়েছে। আমফানের টাকা দেয়া হয়েছে। কৃষকদের বিনামূল্যে শস্য বীমার ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মৎস্যজীবীদের প্রথম কার্ড করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এরপর মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই নন্দীগ্রাম থেকে এবার তিনি প্রার্থী হয়েছেন। অনেকে তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করছেন তিনি? তার উত্তরে তিনি জানিয়েছেন যে, বাংলার যে প্রান্তেই তিনি যাবেন, সেটাই তাঁর ঘর। আপনার মতামত জানান -