এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > সব পথ এসে, মিলে গেল শেষে! চমকে দিয়ে বাংলার বুকেই এক মিছিলে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস!

সব পথ এসে, মিলে গেল শেষে! চমকে দিয়ে বাংলার বুকেই এক মিছিলে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে রাজ্যজুড়ে স্কুল কলেজগুলি। অন্যদিকে লকডাউন এর ফলে অফিস কাছারি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অনেকেই বাড়িতে বসে পড়েন কাজ হারিয়ে। এই অবস্থায় বেসরকারী স্কুলগুলি অনলাইন ক্লাস চালু করে। প্রত্যেকে যাতে এই অনলাইন ক্লাসে যোগ দেয় সে আবেদনও করতে দেখা যায় স্কুলগুলিকে। এবং প্রত্যেক মাসে স্কুলের বেতন জমা দেওয়ার নির্দেশ আসতে থাকে অভিভাবকদের কাছে। বেসরকারী স্কুলগুলির বেতনক্রম যথারীতি ঊর্ধ্বমুখী। করণা পরিস্থিতিতেও যা কমানোর বিন্দুমাত্র লক্ষণ দেখায়নি বেসরকারি স্কুলগুলি।

এই অবস্থায় এবার অভিভাবকরা স্কুলের বেতন কমানোর জন্য পথে নেমেছেন। আর এই একটি বিষয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেল রাজ্যের সমস্ত দলের প্রতিনিধিকে একসাথে। সম্প্রতি দুর্গাপুরে বেসরকারী স্কুলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন অভিভাবকদের নিয়ে গড়ে ওঠা একটি সংগঠন। আর এই সংগঠনের সাথে মিলে অভিভাবকদের সঙ্গে মিছিলে সামিল হন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, দুর্গাপুরের মেয়র পরিষদ সদস্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই, সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেব রায়, কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী।

দুর্গাপুরে বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিভাবকরা দাবি তুলেছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। তাদের দাবী, শুধুমাত্র টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি নেওয়া চলবে না। অন্যদিকে অভিভাবকদের সঙ্গে একই সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের পা মেলানোর বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই প্রতিটি দল অভিভাবকদের পাশে পেতে চাইছেন। আর সে কারণেই দুর্গাপুরের রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা পদক্ষেপ নিয়েছেন একসাথে মিছিলে পা মেলাবার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে আসানসোলেও এদিন রাস্তায় নামেন অভিভাবকরা বলে জানা গেছে। আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির হাতেও একটি দাবিপত্র তুলে দেন বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকরা এবং জানান, বর্তমান অবস্থায় প্রত্যেকের আর্থিক পরিস্থিতি যথেষ্ট বেহাল। এই অবস্থায় বেসরকারি স্কুলগুলির অতিরিক্ত ফি দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাস চলছে। সেক্ষেত্রেও টিউশন ফিও 50 শতাংশ কমানোর দাবি করেছেন অভিভাবকরা।

প্রসঙ্গত লকডাউনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি স্কুলগুলির সাথে অভিভাবকদের সংঘাত চরম আকার ধারণ করেছে। এবং সেক্ষেত্রে আসানসোল এবং দুর্গাপুরের বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে আন্দোলন ব্যাপক আকার নিয়েছে। বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবশ্য ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট অভিভাবকদের 15 ই আগষ্টের মধ্যে বাকি থাকা ফি মিটিয়ে দেবার নির্দেশ দিয়েছে। আর এর ফলেই বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। এই অবস্থায় অভিভাবকদের বিক্ষোভ বেসরকারি স্কুলগুলির চিন্তাধারা বদলাতে পারে কিনা সে দিকেই রয়েছে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!