এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সাবালিকা হওয়ার দুমাস আগেই মেয়ের বিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা! ঝড় তুলতে আসরে তৃণমূল শিবির

সাবালিকা হওয়ার দুমাস আগেই মেয়ের বিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা! ঝড় তুলতে আসরে তৃণমূল শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সরকারি নিয়ম অনুযায়ী 18 বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে হওয়া আইনত দণ্ডনীয়। কিন্তু তাও যত্রতত্র নবালিক বিবাহের ঘটনা কানে আসে। বিশেষ করে ভারতবর্ষের অন্যান্য জায়গায় হামেশাই এধরনের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। কিন্তু এবার বাংলাতেও এই একই ঘটনা ঘটল। তবে বাংলার ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রঙ। জানা গিয়েছে, এক বিজেপি নেতা তাঁর নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন সোমবার সন্ধ্যায়। আর তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সোমবার সন্ধ্যায় দিনহাটা 2 ব্লকের বাসিন্দা এক বিজেপি নেতা পাশের কিশাণগঞ্জ গ্রামের এক যুবকের সাথে বিয়ে দেন নিজের নাবালিকা কন্যার বলে অভিযোগ উঠেছে।

যথারীতি এই ঘটনায় শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও শুরু হয় গুঞ্জন। অন্যদিকে দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ বিতর্ককে আরেকটু উস্কে দেন ফেসবুকে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ তুলে ধরে। যথারীতি গেরুয়া শিবির থেকেও পাল্টা উদয়ন গুহের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। বিজেপি নেতারা বলেছেন, রাজ্যের শাসন ক্ষমতার ব্যর্থতা নাবালিকা বিবাহ। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিধায়ক উদয়ন গুহ এই দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা 2 ব্লকের আবুতারার বাসিন্দা এক বিজেপি নেতা নাবালিকা মেয়ের বিবাহের কথা জানতে পেরে প্রশাসনের আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছান।

কিন্তু তারা পৌঁছানোর আগেই এই বিবাহ হয়ে যায়। তবে নাবালিকার পরিবার প্রশাসনের কাছে মুচলেখা দিয়ে জানিয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কিশোর এবং কিশোরী আলাদা থাকবে। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বিধায়ক উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, প্রশাসনের গাফিলতিতে সোমবার বিজেপি নেতার নাবালিকা মেয়ের বিবাহ হয়। তিনি সেটাই ফেসবুকে লিখেছেন। অন্যদিকে বিজেপির 27 নম্বর মন্ডল সম্পাদক সুশান্ত বর্মন জানিয়েছেন, বিজেপি নেতার মেয়ের বয়স দুমাস কম রয়েছে সাবালিকা হতে। সেক্ষেত্রে নিয়মবিরুদ্ধ কাজের দিকেই ইঙ্গিত তাঁর। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, উদয়ন গুহ মানুষের ভোটে বিধায়ক হয়ে নিজের কর্তব্য পালন না করে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুদেব কর্মকার ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বিধায়ক উদয়ন গুহর ঘাড়ে। সুদেববাবু জানান, বিষয়টি  জানার পর প্রশাসনের উপর ভরসা না করে নিজেই ওই বাড়িতে গিয়ে নাবালিকার বিয়ে আটকাতে পারতেন বিধায়ক। কিন্তু তা না করে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দায় সেরেছেন। অন্যদিকে দিনহাটা 2 এর বিডিও জয়ন্ত দত্ত জানিয়েছেন, বিষয়টি জানা মাত্রই প্রশাসনের টিম ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে যায়। কিন্তু প্রশাসনের টিম যাওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। তবে মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক না হলে শ্বশুরবাড়ি যাবেনা সেরকমই মুচলেখা দিয়েছেন পাত্রীর বাবা তথা এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতা।

অন্যদিকে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা জানান, প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই তিনি চলবেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি নেতার হাত দিয়ে নাবালিকা মেয়ের বিবাহ হওয়া যথেষ্টই অস্বস্তিজনক গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। কিন্তু রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, তৃণমূল বিধায়ক কার্যত ভেবেছিলেন, গেরুয়া শিবিরকে বিপাকে ফেলবেন এই ঘটনায়। কিন্তু গেরুয়া শিবির তার মধ্যে থেকেই পাল্টা চাপ দিয়েছে তৃণমূলকে। গেরুয়া শিবিরকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে কার্যত তাঁর দলের প্রশাসনই কোণঠাসা হয়েছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!