এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > সাবাশ বাম নেতা! ‘মস্তি করতে’ তরুণীকে ‘হট ছবির’ কুপ্রস্তাব পাঠিয়ে সংবাদ শিরোনামে তরুণ তুর্কি!

সাবাশ বাম নেতা! ‘মস্তি করতে’ তরুণীকে ‘হট ছবির’ কুপ্রস্তাব পাঠিয়ে সংবাদ শিরোনামে তরুণ তুর্কি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বছরের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সদস্য তথা কর্মকর্তারা যখন নিজেদের নাম থেকে অস্বচ্ছতা তথা অন্যায়, অনাচারের সমস্ত অভিযোগ অভিযোগ তুলে ফেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে। সেই আবহেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রাজারহাট নিউটাউন এর অন্তর্গত সিপিএম পার্টি ডিওয়াইএফআই এর জেলা কমিটির সদস্য ঋদ্ধ চৌধুরির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এলো তরুণীকে কুৎসিত ইঙ্গিত দানের। আর সেই অভিযোগে হয়ে উঠল সোশ্যাল মিডিয়াতে।

প্রসঙ্গত প্রেসিডেন্সি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘বড়দা’ নামেই প্রসিদ্ধ সিপিএম নেতা ঋদ্ধ চৌধুরী। সম্প্রতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন যে, পরীক্ষার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার বিনিময়ে ঋদ্ধ চৌধুরী দাবি করেছেন ওই ছাত্রীর ‘হট ছবি’ এমনকি ওই ছাত্রীকে ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপ তার ফোনে ডাউনলোড করার জন্য চাপ দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ঋদ্ধ চৌধুরী ও তাঁর কথোপকথন স্ক্রিনশট করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছেন ওই ছাত্রী।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর একজন তরুণী ছাত্রী অভিযোগ করেছেন যে, মেসেজে তাঁর সঙ্গে কথা বার্তার মাধ্যমে একাধিক যৌন ইঙ্গিত করেছেন ঋদ্ধ চৌধুরী। আবার কার্ল মার্কসের শপথ নিয়ে তাকে তিনি তাঁকে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন যে, যে, ইতিপূর্বে তাদের মধ্যে হওয়া সমস্ত অশ্লীল কথাবার্তা কোন প্রমাণ তিনি নষ্ট করে দেবেন অর্থাৎ এই সমস্ত কিছু তিনি নিজের ফোন থেকে ডিলিট করে দেবেন। তবে তাঁদের মধ্যে চলা এই কথোপকথন এর স্ক্রিনশটও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন এই তরুণী ছাত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই দুই ছাত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন ঋদ্ধ চৌধুরী। নিজের বিষয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, “আমি সিঙ্গল। এটাই আমার মস্তির টাইম।” তাঁর এই মন্তব্যের উত্তরে আবার অনেকেক লিখতে দেখা গেছে ” ‘মস্তি’ করতেই হয়তো একাধিক তরুণীকে এমন কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকেন ঋদ্ধ।”

সিপিএমের জেলা কমিটির নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলি স্বীকার করে নিয়ে, নিজের কৃতকর্মের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা প্রার্থীও হয়েছেন। সেই সঙ্গে নিজের ভুল শুধরে নিজেকে একজন প্রকৃত বামপন্থী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে অভিযোগের উত্থাপন, তারপরে ভুল স্বীকার, শেষে শপথ গ্রহণ- সব কিছুর মাধ্যমেই তিনি ট্রল হলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।

অন্যদিকে তাঁর এই কর্মকান্ডে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হলো ডিওয়াইএফআই তথা সিপিএমকে। পশ্চিমবঙ্গ ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগগুলির উপযুক্ত তদন্ত দাবি করেছেন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন অভিযোগগুলি সত্য বলে প্রমাণিত তাঁর বিরুদ্ধে দলের তরফ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!