এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “সবচেয়ে বড় মস্তান আমি, যারা হারানোর চেষ্টা করছে দু’দিক দিয়ে পেটানো হবে। ” এবার মাঠে নামলেন রাজ্যের মন্ত্রী

“সবচেয়ে বড় মস্তান আমি, যারা হারানোর চেষ্টা করছে দু’দিক দিয়ে পেটানো হবে। ” এবার মাঠে নামলেন রাজ্যের মন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দল ও বিরোধী দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রীর মধ্যে কুবাক্যর বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করা যাচ্ছে । আজ হুগলি জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ও সেইসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষুরধার ও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। আজ হুগলির সপ্তগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত তৃণমূল দলের কর্মী- সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন সপ্তগ্রামে। যে সভা মঞ্চ থেকে তিনি নিজেকে ‘মস্তান’ বলে ঘোষণা করে জানালেন, ” কেউ কেউ বলছে সে নাকি মস্তান। আরে সবচেয়ে বড় মস্তান তো তপন দাশগুপ্ত। তুমি কী মস্তানি দেখাবে।”

এরপরই তিনি জানালেন যে, তাঁর দলের মধ্যে থেকেই কেউ কেউ তাঁর পরাজয়ের চক্রান্ত করছেন। তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানালেন যে, দলের মধ্যে থেকে যারা তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে, তাদেরকেও চক্রান্তের মধ্যে পড়তে হবে। তাঁর পুলিশ, আইবি চক্রান্তকারীদের তালিকা তৈরি করবে। তার পরেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি জানালেন যে, আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আবার জিতবেন।

আর এর পরেই তাঁর উক্তি, ” তারপর আর এবার নজরুল গীতি, শ্যামা সঙ্গীত বাজবে না। দু’দিক দিয়ে পেটানো হবে।” দু দিক দিয়ে পেটানো বলতে তিনি বোঝালেন যে, একদিকে তিনি সিপিএম- বিজেপি কে পেটাবেন, অন্যদিকে দলের মধ্যে থেকে যারা বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করছে তাদেরকেও পেটাবেন। নিজের রুদ্রমূর্তি ধারণ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ” ২০০৮ সালে মহানাদে ৪০টি গাড়ি নিয়ে সিপিএমকে পিটিয়েছিলাম। আমি দলের কর্মীদের অপমান সহ্য করব না। কোনও ভোগখোর নেতাকে মানব না।”

প্রসঙ্গত বিজেপির কিষান মোর্চার রাজ্য নেতা স্বরাজ ঘোষ একসময় ছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ধনেখালির বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী অসীমা পাত্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। আজকের এই সভা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ করে মন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল,
” হাড়িটের এক প্রোমোটার দেখলাম মুকুল রায়ের সঙ্গে ছবি দিয়েছে। মুকুল রায়ের সঙ্গে ছবি দিলেই নেতা হয়ে গেল? কোমরে মেশিন নিয়ে ঘোরে বলে লোককে চমকায়। ও জানে না যে, মেশিনের মুখটা ঘুরিয়ে দিতে আমার এক মিনিট সময় লাগবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তার ক্ষুরধার বক্তব্য থেকে ছাড়া পেলেন না হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। লকেট চট্টোপাধ্যায় কে ‘সুন্দরী’ সম্বোধন করে তিনি বললেন যে, করোনার সময় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন রাস্তায়। তিনিও বারবার তাঁর বিধানসভা এলাকার পথে বেড়িয়েছেন। কিন্তু, এলাকায় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একটিবারের জন্যও দেখা যায় নি।

এভাবে, একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেল মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হুগলি জেলা তৃণমূলের মধ্যে যে প্রবল অস্থিরতা চলছে, বারবার দেখা যাচ্ছে গোষ্ঠী কোন্দল। সেটাই মন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে তপনবাবুর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা জানালেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী কে হবেন তা একমাত্র ঠিক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য কেউ তা নির্ধারণ করতে পারেন না। তাই নিজেকে আগাম প্রার্থী হিসেবে আগাম ঘোষণা করা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধাচারণ করা হবে।

অন্যদিকে তপনবাবুর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য জানালেন, ” সমাজবিরোধীরা যদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পান তাহলে এটাই হয়। নিজেই নিজেকে মস্তান বলছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল দলটা আসলে কারা করে।”
প্রসঙ্গত গতকাল হুগলি জেলার উত্তরপাড়ায় নিজের দল সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল বেচারাম মান্নাকে। গতকাল রবিবার তিনি বলেছিলেন যে, তৃণমূল দলের মধ্যে কেউ আছেন যারা দল ভাঙিয়ে করে খাচ্ছেন, আর কেউ আছেন যারা বঞ্চিত করছেন দলের কর্মীদের। এই সমস্ত নেতাদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দেওয়া প্রয়োজন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!