এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “দাদা হয়ে ভাইকে উপদেশ দিতে এসেছি” সব্যসাচী কান্ডে বিজেপি নেতার কথায় জল্পনা তীব্র

“দাদা হয়ে ভাইকে উপদেশ দিতে এসেছি” সব্যসাচী কান্ডে বিজেপি নেতার কথায় জল্পনা তীব্র

বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের একের পর এক দলবিরোধী মন্তব্যে যখন তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনছে তৃণমূল, ঠিক তখনই বিতর্ককে উস্কে দিয়ে সেই তৃনমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। জানা যায়, সম্প্রতি বিদ্যুৎ ভবনে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সব্যসাচী দত্ত। এমনকি সেই সমাবেশ থেকে দলের বিরুদ্ধেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে দেখা যায় তাকে।

আর এরপরই সেই সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গতকাল বিধাননগর পৌরসভার কাউন্সিলরদের তৃণমূল ভবনে ডেকে পাঠান কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, বিধাননগর পৌরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্তের প্রভাব কিছুটা কমিয়ে তার জায়গায় সেই মেয়র পদ দেখভাল করবেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। আর তারপরই নানা মহলে জল্পনা ছড়ায় যে, তাহলে কি তৃণমূলে এবার সব্যসাচী দত্তর অবসান ঘটতে চলেছে!

এদিকে এই জল্পনা যখন রাজনৈতিক মহলে চলছে, ঠিক তখনই বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সূত্রের খবর, গতকাল রাতেই বিধাননগর সুইমিংপুলে সব্যসাচী দত্তর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান মুকুলবাবু। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব্যসাচীবাবুর বিজেপি যোগের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে একজন দাদা হিসেবে ভাইকে তিনি উপদেশ দিতে এসেছেন বলে গোটা ব্যাপারটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়।

কেন হঠাৎ সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে যখন তৃণমূলে এহেন দোদুল্যমান পরিস্থিতি চলছে, তখন সেই সব্যসাচী দত্তের সাথেই পৃথকভাবে বৈঠক করলেন তিনি! এতে কি সব্যসাচীর সাথে তৃণমূলের দূরত্ব আরও বাড়ল না! এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, “এটা পুরোপুরি সৌজন্য সাক্ষাৎ। বিজেপি নেতা হিসেবে নয়। সব্যসাচীর দাদা হিসেবে তাকে উপদেশ দিয়ে গেলাম।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন সব্যসাচী দত্তকে পাশে বসিয়ে বিধাননগরের তৃনমূলের পক্ষ থেকে কিছুটা প্রভাব বাড়িয়ে দেওয়া তাপস চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, “2008 সালে সিপিএমের এই তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং রবিন মন্ডলের চরম দাপট ছিল। তখন তৃণমূলের এক কর্মীকে খুন করার পর মাটি দেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই সময় আমি আর সব্যসাচী সেইখানে মাটি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। 2011 সালে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছিল না। কিন্তু সেই সময় সব্যসাচী তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেছিলেন।”

আর এরপরই আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিরোধী দলের মর্যাদাও পাবে না বলে জানিয়ে দেন বঙ্গ বিজেপির এই চাণক্য। এদিকে তৃণমূলের বিধায়ক তথা বিধাননগর পৌরসভার মেয়রকে পাশে বসিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃণমূল সমালোচনা করায় সব্যসাচী দত্তের দলবদল যে কার্যত সময়ের অপেক্ষা সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত সকলেই। যদিও বা বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে মুখ খোলেনি কোনো পক্ষই।

এদিন এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী দত্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপি নেতা হিসেবে উনি ওনার মত করে কথা বলেছেন। আর যে দল সম্পর্কে উনি বলেছেন তার পুরোটাই তিনি জানেন। তবে আমি কোনো স্পেকুলেশন নিয়ে কোন কথা বলব না।” সব মিলিয়ে মুকুল রায় এবং সব্যসাচী দত্ত একে অপরের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করলেও ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতোই যেন নিজেদের অবস্থান বজায় রাখলেন তারা। যা প্রবল সঙ্কটে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!