এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যেতেই ‘অভিনব সেলিব্রেশনে’ মাতল তাঁর নিজের গড়ের তৃণমূলীরা

সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যেতেই ‘অভিনব সেলিব্রেশনে’ মাতল তাঁর নিজের গড়ের তৃণমূলীরা


তৃণমূল গড়ে আবারো ধাক্কা দিলেন প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। লোকসভা ভোটের পর থেকেই দলবদলের ভীড়ে তৃণমূল দল থেকে একের পর এক নেতা ঘাসফুল শিবির ছেড়ে চলে যাচ্ছে পদ্ম শিবিরে।সব্যসাচী দত্তের বিজেপি দলে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন আগে থেকেই ছিল তবে এবার তিনি পাকাপাকিভাবে বিজেপি দলে যোগদান করলেন।

যদিও সূত্রের খবর তৃণমূল দল থেকেও চাওয়া হচ্ছিল সব্যসাচী যাতে তৃণমূল দল ছাড়েন। কারণ দিন দিন সব্যসাচী দত্তের সাথে তৃণমূল নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছিল। এই দূরত্ব মেটানোর জন্য কোন পক্ষই চেষ্টা করেনি। বরং আগুনে ঘি পড়ে বিদ্যুৎ কর্মীদের নিয়ে বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও পর্বে সব্যসাচী দত্ত দল বিরোধী বিস্ফোরক মন্তব্য করায়। এরপরই তাঁকে মেয়র পদ ছাড়তে হয়। শাসক দলের সাথে বিশাল দূরত্বকেই এবার শিলমোহর দিয়ে পাকাপাকিভাবে সব্যসাচী দত্ত বিজেপি শিবিরের সৈন‍্য হিসেবে যোগ দিলেন।

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সব্যসাচী দত্ত মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন এবং তিনি অমিত শাহকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন। এরপরেই অভিনব উৎসবের মাতে নিউটাউনের তৃণমূল দল। সেখানে বিজয় উৎসব পালন করল তাঁরা।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সব্যসাচী দত্তকে আপদ বলে অভিহিত করেছেন নিউটাউনের তৃণমূল দল। এবং সেই অভিনব ‘আপদ বিদায়’ সেলিব্রেশন করা হয় এদিন। স্বাভাবিকভাবেই সব্যসাচী দত্তের বিজেপিতে যোগদানের ফলে নিউটন তৃণমূল দলে খুশির জোয়ার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল তা একেবারেই প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার এর সাথে সব্যসাচী দত্তের বরাবরই কোন্দল আর এই কোন্দল সর্বজনবিদিত। সব্যসাচী দত্তের তৃণমূল ছাড়ার সাথে সাথেই এই কোন্দলের বিনাশ হলো। আপাতত নিউ টাউন তৃণমূল দলের নেতৃত্বভার কাকলি ঘোষ দস্তিদারের হাতেই থাকবে।

এদিন নিউটনের তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ আফতাবউদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকায় মিষ্টিমুখ চলে, বাজি পোড়ানো চলে, আবির খেলা চলে। পুরো ঘটনায় নিউটন তৃণমূলের দলের খুশি চোখে পড়ার মতো। বোঝাই যাচ্ছে, সব্যাসাচী দত্ত রীতিমত গলার কাঁটা হয়ে তৃণমূলে ছিলেন।

অন্যদিকে বিজেপিতে যোগদান করেই সব্যসাচী দত্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর কারণেই বাংলা পাকিস্তানে পরিণত হতে চলেছে। অতএব বিজেপিই একমাত্র সেই শক্তি যে বাংলাকে বাঁচাতে পারে। তিনি অমিত শাহের কাছে বাংলা বাঁচাবার আর্জি রাখেন।

সব্যসাচী দত্তের দলে আসা নিয়ে অবশ্য বিজেপি দলের দাবি, একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ দীর্ঘদিন তৃণমূলে থাকার ফলে তৃণমূলের আঁটঘাট সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনি। তাই তাঁকে কাজে লাগিয়ে এবার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে সমূলে উৎপাটন করার চেষ্টা চালানো হবে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও এই একই মতের পরিপন্থী। পরবর্তীতে সব্যসাচী দত্তকে বিজেপি শিবির কিভাবে কাজে লাগায় তার দিকে বিশেষ নজর রাখবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!