জোর নয়, হুমকি নয়, চাপ নয়, করজোড়ে বলছি আসুন আমরা কথা বলি: সব্যসাচী দত্ত কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 15, 2019 এনআরএস কান্ড এবং সম্প্রতি সেখানে গিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকায় চূড়ান্তভাবে অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থায় ধর্মঘট যেমন অব্যাহত, ঠিক তেমনই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে দিকে দিকে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ চিকিৎসকরা গনইস্তফা দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে তীব্র সংকটে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা – আর রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়রা, এই নজিরবিহীন পরিস্থিতির জন্য সরাসরি আঙুল তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই। তবে দ্রুত যাতে এই সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হয়, এবার সেই ব্যাপারে সকলের কাছে আবেদন জানালেন বিধাননগর পৌরসভার মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। সূত্রের খবর, শুক্রবার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক মেলা গ্রাউন্ডে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেগা ট্রেড ফেয়ারের উদ্বোধন করেন বিধাননগরের এই মেয়র। যেখানে তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল চেম্বারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল স্মরজিৎ পুরকায়স্থ, আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান প্রকাশ শাহ, থাইল্যান্ডের দূতাবাসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল মিস ভিনাস, জিএস মার্কেটিংয়ের সিইও সুপর্না ডি গুপ্তা সহ অন্যান্যরা। মূলত ভারতীয় পন্যকে যাতে আরও বেশি করে সকলের সামনে আনা যায়, তার জন্যই এই বাণিজ্য মেলা আগামী ২৩ শে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা দুটো থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। এদিন এই মেলার উদ্বোধন পর্ব শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে সংকটময় পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ে মুখ খোলেন সব্যসাচী দত্ত। এদিন তিনি বলেন, “কেউ এখানে বড় ছোট, নয়। যদি ক্ষমা চাইলে সমস্যার সমাধান হয়, আমি চিকিৎসকদের কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি আছি। জোর করে নয়, হুমকি নয়, করজোরে বলছি, আসুন আমরা কথা বলি।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে গোটা বাংলা সরাসরি আঙুল তুলছে তাঁর দলনেত্রীর অনমনীয় মানসিকতার দিকে, যেখানে ডাক্তারদের তোলা দাবিকে মান্যতা দেওয়ার বদলে মুখ্যমন্ত্রীর ‘হুমকির’ ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে বলে দাবি করছেন বিরোধীরা, সেখানে অত্যন্ত নমনীয় মানসিকতা দেখিয়ে সাব্যসাচীবাবু বলেন, “সরকারি-বেসরকারি সমস্ত ক্ষেত্রে ডাক্তারদের এই আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে। যার ওপরে রাগ করেই এরকম করছেন, আশা করি আলোচনা করলেই সমাধান বেরোবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকদের এই সমস্যা মেটানো দরকার।” এদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের কাজে ফিরে আসার জন্য বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত এই মন্তব্য করলেও এবার বিরোধীরা এই ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের কাছে এলে এবং তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হত। কিন্তু তিনি তা না করে যেভাবে গোঁ ধরে বসে রয়েছেন, তাতে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভয়াবহ ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে! বিরোধীদের মুখে এই পরিস্থিতিতে সাব্যসাচীবাবুর এহেন মন্তব্যের সমর্থন মিলেছে। তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সমগ্র ঘটনার জন্য দায়ী করে কাঠগড়ায় তুলে, বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তের এই আর্জিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সুর আরও চড়িয়ে সাব্যসাচীবাবুর নেত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্চর্যজনক ভূমিকাতেই সমস্ত কিছু আটকে রয়েছে, আক্রমন তীব্রতর করেছেন। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর ‘হুমকির’ জেরে রাজ্যের ডাক্তাররা গন-ইস্তফার পথে হাঁটছেন, তাই বিরোধীদের দাবি, সাব্যসাচীবাবু নন – সবার আগে মুখ্যমন্ত্রীকেই এই ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। আপনার মতামত জানান -