এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে “বহিস্কৃত” প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা দাপাচ্ছেন এলাকা! নির্বিকার পুলিশ

ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে “বহিস্কৃত” প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা দাপাচ্ছেন এলাকা! নির্বিকার পুলিশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শাসক দলের সঙ্গে জড়িত থাকলেই দুর্নীতি বা অপরাধমূলক কোনো ঘটনা ঘটলেও, তাদের সাত খুন মাফ হয়ে যায় বলে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেরকমই এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আগে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলেও এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও, এবার সেই তৃণমূল নেতা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহাল তবিয়তে।

যার ফলে শাসক দলের শৃঙ্খলা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তেমনই পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, লকডাউনের মধ্যেই কোচবিহার জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্য নূরে আলমের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। যার ফলে কার্যত চাপে পড়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিযুক্ত নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

কিন্তু তারপরেও এখন রীতিমত তৃণমূলের নাম করেই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই তৃণমূল নেতা। জানা গেছে, এদিন বিভিন্ন এলাকায় এই নূরে আলম হোসেনকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কিন্তু তিনি তো দলের বহিস্কৃত নেতা! কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি দিনহাটা এবং সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের নাম করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মাথা পেতে নিয়েছি। কিন্তু আমি তৃণমূলই করি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি তৃণমূল অভিযুক্ত নেতাকে শুধুমাত্র নামেই বহিষ্কার করেছে! এর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কেন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না? কেন তিনি এখনও পর্যন্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন? একাংশের মতে, এই নূরে আলম হোসেন না থাকলে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের ভোটে জেতা সম্ভব হত না। তাই ভবিষ্যতের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে জনমানসে তৃণমূল তাদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে উপরে উপরে বহিষ্কার করলেও, তলায় তলায় এই অভিযুক্ত নেতাকে আশ্রয় দিচ্ছে।

কিন্তু এরকম ভাবে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরেও, যদি তৃণমূল নেতা ঘুরতে শুরু করেন এবং পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মানুষের তো আইনের প্রতি ভরসা উঠে যাবে! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। ধর্ষণের মামলার অভিযোগ ঘিরে ব্যবস্থা হয়েছে। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না, এটুকু বলতে পারি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে যা বলার জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব বলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

তবে নানা মহল থেকে এই ব্যাপারে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে অস্বস্তিতে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “বিরোধীরা নানা অপপ্রচার করছে। দল অন্যায় কাজ দেখে ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে তা শুরুও হয়েছে।” তবে কেন পুলিশ প্রশাসন এখনও পর্যন্ত এই অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কারো কথায় কাউকে ছাড় দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।”

অর্থাৎ নানা মহলের তরফে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ উঠলেও, পুলিশ প্রশাসন এবং শাসক দলের পক্ষ থেকে অবশ্য সেই অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বহিষ্কারের পরেও যেভাবে সেই তৃণমূল নেতা ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং নিজেকে তৃণমূলের নেতা বলে দাবি করছেন, তাতে নিঃসন্দেহে শাসক দলের ভাবমূর্তি যে কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তাতে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পুলিশ প্রশাসন এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!